শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় নথি! very big good news in 2025

শ্রমশ্রী প্রকল্প
শ্রমশ্রী প্রকল্প

শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় নথি

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমশ্রী প্রকল্পটি ভিন রাজ্যে হেনস্তার শিকার হয়ে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ পর্যন্ত, এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি সঠিকভাবে পেতে হলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি।

বর্তমানে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অনলাইন পোর্টাল তৈরির কাজ করছে। যদিও সেই পোর্টালটি এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে প্রাথমিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।

শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য মূল শর্তাবলী

এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হবে:

  • বাঙালি পরিচয়: আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক হতে হবে, যিনি বাংলা ভাষা বা পরিচয়ের কারণে অন্য রাজ্যে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
  • রাজ্যে প্রত্যাবর্তন: আবেদনকারীকে ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসতে হবে।
  • কর্মসংস্থানহীনতা: আবেদনকারী বর্তমানে কর্মহীন অবস্থায় থাকতে হবে, এবং তার পরিবারকে আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

এই প্রকল্পে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য

আবেদনের সময় নিম্নলিখিত নথিগুলো প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে অনলাইন পোর্টালে এই নথিগুলোর স্ক্যানড কপি বা ছবি আপলোড করতে হতে পারে।

  • পরিচয়পত্র: আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা অন্য কোনো সরকারি পরিচয়পত্র।
  • ঠিকানার প্রমাণ: বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন, আধার কার্ড, বিদ্যুৎ বিল)।
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ: আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের প্রথম পাতার স্ক্যানড কপি বা একটি বাতিল চেক, যেখানে অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড এবং শাখার নাম স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
  • পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে প্রমাণ: যদি সম্ভব হয়, ভিন রাজ্যে কাজের কোনো প্রমাণ (যেমন, চাকরির আইডি কার্ড, বেতন স্লিপ, বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক নথি)। এটি না থাকলেও আবেদন করা যাবে, তবে থাকলে প্রক্রিয়াটি সহজ হতে পারে।
  • হেনস্তার প্রমাণ (যদি থাকে): হেনস্তা সংক্রান্ত কোনো পুলিশ রিপোর্ট বা অন্য কোনো প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়)। এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে থাকলে সুবিধা হতে পারে।
  • পারিবারিক তথ্য: পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে তথ্য।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা: ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পূর্বে অর্জিত দক্ষতার বিবরণ।
শ্রমশ্রী প্রকল্প
শ্রমশ্রী প্রকল্প

শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়া (সম্ভাব্য পদ্ধতি)

যদিও চূড়ান্ত পদ্ধতি এখনো জানানো হয়নি, তবে এটি সম্ভবত অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। এর ধাপগুলো হতে পারে এরকম:

  1. অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ: শ্রমশ্রী পোর্টালে গিয়ে প্রথমে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  2. ফর্ম পূরণ: অনলাইন ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে ব্যক্তিগত বিবরণ, যোগাযোগের তথ্য, পারিবারিক তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  3. নথি আপলোড: উপরে উল্লিখিত সমস্ত নথি স্ক্যান করে বা ছবি তুলে আপলোড করতে হবে।
  4. ফর্ম জমা দেওয়া: সকল তথ্য ও নথি যাচাই করার পর আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।

আবেদন জমা দেওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ আপনার আবেদনপত্রটি যাচাই করবে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনার দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা পাঠানো হবে এবং আপনি অন্যান্য সুবিধার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: পোর্টালটি চালু হওয়ার পর, যেকোনো নতুন তথ্যের জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তির দিকে নজর রাখুন। সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ কোনো ভুল তথ্য আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ হতে পারে।

এই প্রকল্প (শ্রমশ্রী প্রকল্পে) সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, আমাদের জানাতে পারেন। অথবা এই প্রকল্প সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন!

‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প: প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)

১. শ্রমশ্রী প্রকল্প কী?

‘শ্রমশ্রী’ হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি নতুন প্রকল্প, যা ভিন রাজ্যে হেনস্তা বা অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো তাদের আর্থিক ও সামাজিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।

২. এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কারা যোগ্য?

যেসব বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকেরা অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলা ভাষা বা পরিচয়ের কারণে হেনস্তা হয়েছেন এবং বর্তমানে রাজ্যে ফিরে এসেছেন, তাঁরা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য।

৩. শ্রমশ্রী প্রকল্পের আওতায় কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে?

এককালীন আর্থিক সহায়তা: ফিরে আসা প্রতিটি শ্রমিককে এককালীন ৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
মাসিক আর্থিক সাহায্য: কাজ না পাওয়া পর্যন্ত এক বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা: শ্রমিকরা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ এবং ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
দক্ষতা প্রশিক্ষণ: ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আই-কার্ড: একটি ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে তাদের একটি বিশেষ পরিচয়পত্র বা আই-কার্ড দেওয়া হবে।

৪. কীভাবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে?

সরকার ‘শ্রমশ্রী’ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল তৈরি করছে। সেখানে প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদন করতে হবে। যদিও পোর্টালটি এখনো সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি, তবে আবেদনের জন্য আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক এবং অন্য রাজ্যের কাজের কোনো প্রমাণপত্র (যদি থাকে) প্রস্তুত রাখতে হবে।

৫. এই প্রকল্পে কি সব পরিযায়ী শ্রমিকই আবেদন করতে পারবেন?

না, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পটি বিশেষভাবে সেইসব বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যারা ভিন রাজ্যে অত্যাচারিত হয়েছেন। যারা স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছেন বা অন্য কারণে ফিরেছেন, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

৬. আর্থিক সাহায্য কি কেবল এককালীনই দেওয়া হবে?

না, এককালীন ৫,০০০ টাকা ছাড়াও কাজ না পাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।

16 COMMENTS

  1. আমি গুজরাট এর আমেদাবাদ শহরে কাজ করি আমাদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

  2. আমি কেরালায় কাজ করেছি ওখানে কাজের পরিস্থিতি খুবই খারাপ

  3. আমি সেলাই কাজ করতাম দিল্লি ওখানকার পুলিশে হেনস্থার কারণে বাড়ি ফিরে এসেছি বাঙ্গালীদের খুব নির্যাতন ওখানে ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here