This Post Contents
“৪২,৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: পর্ষদের কঠোর নির্দেশ, তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা!”
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৮ জুলাই, ২০২৫-এ একটি তাৎপর্যপূর্ণ নোটিশ জারি করেছে, যা ২০১৬ সালের ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত। এই নোটিশে সমস্ত জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষদ (DPSC)-কে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ২০১৬-এর নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি কোনওভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তের মূলে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে চলমান একটি মামলা, যা ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিষয়ে বিচারাধীন।
নোটিশের প্রধান বিষয়গুলি
নতুন নির্দেশনায় নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি উল্লেখ করা হয়েছে:
- তথ্য প্রকাশে কঠোর নিষেধ: পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত DPSC-গুলি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনও নথি বা তথ্য বাইরে প্রকাশ করতে পারবে না।
- সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখা: নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং গোপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করার জন্য DPSC-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- RTI আবেদনের উপর প্রভাব: এই নির্দেশনার ফলে, তথ্যের অধিকার আইনের (RTI) আওতায় ৪২,৯৪৯ প্যানেল সংক্রান্ত কোনও তথ্যের জন্য আবেদন করলেও উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
- আদালতের নির্দেশ মান্য করা: কেবলমাত্র আদালতের অনুমোদন পেলেই তথ্য প্রকাশ করা যাবে; অন্যথায় পর্ষদের অনুমতি ছাড়া কোনও তথ্য কাউকে দেওয়া যাবে না।
এই নির্দেশের পেছনের কারণ
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি বিতর্ক চলছে। ৩২,০০০ প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য পর্ষদ এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্ষদের মতে, বিচারাধীন এই সময়ে কোনও তথ্য ফাঁস হলে তা মামলার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এর তাৎপর্য
এই নোটিশের ফলে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্যের জন্য অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে। যারা RTI-এর মাধ্যমে তাদের নিয়োগের অগ্রগতি জানতে চেয়েছিলেন, তারা এখন কোনও তথ্য পাবেন না। তাদের জন্য এখন একমাত্র উপায় হলো আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
ভবিষ্যৎ কী?
চাকরিপ্রার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা ধৈর্য ধরে আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখুন। এই নির্দেশনা সাময়িক এবং আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পরই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে জড়িত সকল পক্ষের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অপেক্ষার সময়।