32000 Primary Teachers Jobs Rejection Caseঃ- এই মুহূর্তের একটি বড় খবর সামনে এল ২০১৪ টেটের (2014 Primary TET Case) মামলায়! গতকালের শুনানির পরে আজকে ফের এই মামলাটি শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে! আজকে কোর্টের ১১ নম্বর রুমে মাননীয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকের ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হয়! সেখানে প্রত্যেক আইনজীবী নিজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন!টানা চার ঘণ্টা সওয়াল- জবাবের পর মামলার শুনানিপর্ব শেষ হলেও এদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়।
১৯/০৫/২০২৩- এই মাত্র ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিল ৩২,০০০ প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলায়- এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত নিউজটি পরে নিন! ডিভিশন বেঞ্চ স্টে জারি করেছে ৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলায়!
32000 Primary Teachers Jobs Rejection Case
১) সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রথমে ৩৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে, ২০১৪ টেটের প্যানেল থেকে! |
২) সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়! |
৩) এই মামলা মাননীয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের করা হয়! |
৪) এই দিকে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে সংশোধন করা হয়! সেখানে টাইপিং মিস্টেকের জন্য ৩৬০০০ হয়ে যায় বলে কোর্টের জানায় মামলাকারীরা সেটা হবে ৩২০০০! |
৫) ডিভিশন বেঞ্চে গতকালকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা শুনানি হয় ! |
৬) ডিভিশন বেঞ্চে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে, এই মামলার রায় রিসার্ভ রেখে দেয়! |
৭) ডিভিশন বেঞ্চ জানায় এই মামলার রায় ১৯ই মে দুপুর ১ টায় ঘোষণা করা হবে! |
আরও বিস্তারিত আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন! |
আজকে ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার ভাবে জানিয়েদেয় যে ৩৬০০০ চাকরি (যা পরে কমে হয় ৩২০০০) বাতিল মামলার রায় আজকেই দেওয়া হচ্ছে না! কোর্ট জানিয়েছে সব পক্ষের বক্তব্য আজকে শোনা হল , কিন্তু আজকেই কোনও জাজমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না ! কোর্ট জনিয়েছে (32000 Primary Teachers Jobs Rejection Case) আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৯/০৫/২০২৩ তারিখে দুপুর ১ টার সময় এই ৩২,০০০ প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলার জাজমেন্ট দেওয়া হবে!
৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কি আদৌ বাতিল হচ্ছে, না কি ভাগ্য ফিরতে চলেছে চাকরিহারাদের? আগামীকাল শুক্রবার এই প্রশ্নে রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ম্যারাথন শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, ১৯ মে শুক্রবার বেলা ১টায় রায় ঘোষণা করা হবে। যদিও এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি বেঞ্চ। চাকরিহারা প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ঝুলে রইল আরও এক দিন। গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া ওই শিক্ষকদের বাতিলের নির্দেশ আদৌ বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে কাল, শুক্রবার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
অর্ডার কপি ডাউনলোড করতে হলে কোর্টের অফিশিয়াল (www.calcuttahighcourt.gov.in) সাইট ভিজিট করুন অথবা এখানে ক্লিক করুন !
চাকরিহারাদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীরা মামলা করেছেন তাঁদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। কারণ এনসিটিইর গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে মামলাকারীদের আবেদন কীভাবে গ্রহণ করা হল? পক্ষপাতিত্ব করে তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি।” তিনি আরও বলেন, “প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকরাও দুর্নীতিতে জড়িত, এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া যায় ? পর্ষদের ভুল বা দোষের খেসারত এই শিক্ষকরা দেবেন কেন? এই শিক্ষকদের বক্তব্যই বা শোনা হল না। কেন?”
চাকরিচ্যুতদের আরেক আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “বিচারপতি যেন আগে থেকেই চাকরি বাতিল করবেন বলে মনস্থির করে রেখেছিলেন। মামলার শুনানি চলাকালীন গত ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি বলেছিলেন, ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব। সেই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার, চাকরি বাতিল করা আগে থেকেই স্থির করা ছিল।”

মঙ্গলবার রায় সংশোধন করে বিচারপতি জানিয়ে দেন, টাইপ করার ভুল হয়েছিল। ৩৬ হাজার নয়, প্রায় ৩২ হাজার চাকরি (32000 Primary Teachers Jobs Rejection Case) বাতিল হবে। পর্ষদের আবেদন নিয়ে মঙ্গলবারের পর বুধবারও বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি চলে।
এই দিকে ২০০৯ কেস থেকে,বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন হাওড়ার ৭১ জন চাকরিপ্রার্থী। আগামী দু’মাসের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ করতে বলেছেন বিচারপতি। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১২-তে নিয়োগ বাতিল হয় দুর্নীতির অভিযোগে। পরে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২০১৪ সালে তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু ২০২২ সালে ৭১ জন মামলা করে দাবি করেন, ১২০০ শূন্যপদ থাকলেও তাঁরা পাস করার পরও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি।