This Post Contents
গ্রুপ C ও D কর্মীদের ভাতা বিতর্ক: হাই কোর্টের প্রশ্ন
সম্প্রতি গ্রুপ C ও গ্রুপ D চাকরিচ্যুত কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহ রাজ্যের কাছে জানতে চান, “এত তাড়াহুড়ো কেন?” সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও স্ক্রুটিনি ছাড়াই কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভাতা দেওয়ার—এই প্রশ্নেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
⚖️ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ:
বিচারপতি সিংহ বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে বিস্তারিত স্ক্রুটিনি ও আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তিনি মামলাটি দুপুর ২টোর পর ফের শুনবেন বলে জানান।
📌 কীভাবে শুরু এই বিতর্ক?
২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। এরপর গ্রুপ C ও D কর্মীরাও আন্দোলনে সামিল হন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেন—২৫,০০০ টাকা (C গ্রুপ), ২০,০০০ টাকা (D গ্রুপ)।
📝 ভাতার সিদ্ধান্ত ঘিরে মূল প্রশ্নসমূহ:
- ভাতার সিদ্ধান্তে দ্রুততা কেন?
- আলোচনা ও স্ক্রুটিনির অভাব কেন?
- জনস্বার্থে এই খরচ কি সংবিধান সম্মত?
- রাজকোষ থেকে এই ব্যয় কতটা যুক্তিযুক্ত?
📢 হাইলাইট:
- এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) কিশোর দত্ত বিষয়টি বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন।
- বিচারপতি দুপুর ২টোর পর ফের শুনানি করেন।
- ইতিমধ্যেই অনেক কর্মী প্রথম মাসের টাকা পেয়ে গেছেন।
📅 সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সময়সীমা
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার নিয়োগ বাতিল করে। রাজ্য সরকারকে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্য ভাতা ঘোষণা করে।
🧾 সারসংক্ষেপ:
- ভাতা বিতরণ নিয়ে রাজনৈতিক এবং আইনগত বিতর্ক তুঙ্গে।
- সংবিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে ব্যয় হলেও আদালতের পর্যবেক্ষণে সন্দেহ।
- রাজ্যের খরচ এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশনার মধ্যে সামঞ্জস্য জরুরি।
❓ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
গ্রুপ C ও D কর্মীদের কেন ভাতা দেওয়া হচ্ছে?
তাঁদের চাকরি বাতিল হলেও মানবিক কারণে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আপাতত ভাতা প্রদান করা হবে।
এই ভাতা কি স্থায়ী?
না, এটি সাময়িক। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হয় এবং পুনরায় নিয়োগ হয়।
আদালতের চূড়ান্ত অবস্থান কী?
বিচারাধীন। হাই কোর্ট বিস্তারিত শুনানির পর সিদ্ধান্ত জানাবে।
