{BLO Duty Of Teachers}BLO-র প্রধান দায়িত্ব ও কাজ কী? — সহজ বাংলায় বিস্তারিত জানুন! big news!

WB_Election_2021
WB_Election_2021

This Post Contents

BLO Duty Of Teachers:- বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও হলেন নির্বাচন কমিশনের লোক। এঁরা ভোটার তালিকা তৈরি আর ঠিক করার কাজে হেল্প করেন। পশ্চিমবঙ্গে বিএলও-এর কাজটা সাধারণত (BLO Duty Of Teachers) শিক্ষকরা করে থাকেন। তবে এটা নিয়ে রিসেন্টলি একটু ঝামেলা হয়েছে। এই লেখায় বিএলও-দের কাজ, শিক্ষকের ভূমিকা আর সমস্যাগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা হলো। নিচে কিছু প্রশ্ন আর উত্তর দেওয়া হলো, যাতে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হয়।

BLO Duty Of Teachers

FAQs:বিএলও-এর কাজ নিয়ে কিছু কথা (সাধারণ প্রশ্নাবলী)

১. বিএলও আসলে কী, আর তাদের কাজটাই বা কী?

বিএলও মানে বুথ লেভেল অফিসার। এঁদের নির্বাচন কমিশন বসায়। এঁরা সাধারণত সরকারি বা আধা-সরকারি কর্মী হন। এদের কাজ হলো নিজের এলাকার ভোটার তালিকা বানানো আর ভুলগুলো ঠিক করা। এঁরা যেহেতু এলাকার লোক, তাই ভোটার তালিকার ব্যাপারে ভালো জানেন।
কাজ:-
-ভোটার তালিকা ঠিক করা: মানে নাম যোগ করা, বাদ দেওয়া বা কারেকশন করা।
-ঘরে ঘরে গিয়ে খবর নেওয়া: ভোটারদের ডিটেইলস যেমন নাম, ঠিকানা, এসব চেক করা।
-ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া: ভোটারদের হাতে তাদের কার্ড পৌঁছে দেওয়া।
-তথ্য জমা দেওয়া: যা কিছু খবর জোগাড় করা হয়েছে, তা নির্বাচন অফিসের অফিসারকে দেওয়া।
-মানুষকে জানানো: নতুন ভোটারদের নাম লেখাতে উৎসাহিত করা, আর ভোটার তালিকা দেখতে বলা।

২. কারা বিএলও হতে পারেন?

পশ্চিমবঙ্গে কিছু শিক্ষক (BLO Duty Of Teachers) আছেন, যারা বিএলও-এর কাজ করতে পারেন। যেমন:-সরকারি স্কুলের শিক্ষক: প্রাইমারি, সেকেন্ডারি আর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষকরা।যারা রেগুলার বেতন পান: যাদের প্রতি মাসে মাইনে আর ডিএ (Dearness Allowance) জোটে। পেনশনের সুবিধা আছে যাদের: মানে চাকরিটা পেনশন পাওয়ার মতো হতে হবে।

তবে কারা হতে পারবেন না: -যারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। রিটায়ার্ড করে গেছেন, এমন শিক্ষক।

৩. বিএলও-দের কাজগুলো কী কী?

বিএলও-দের এখন অনেক কাজ। তার মধ্যে কয়েকটা নিচে দেওয়া হলো:
-বাড়িতে যাওয়া: বার বার ভোটারদের বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য জোগাড় করা। যেমন নাম, ঠিকানা ইত্যাদি।
-নোটিশ দেওয়া: ভোটারদের নোটিশ বিলি করা, আর দরকারি কাগজগুলো নেওয়া।
-খবর যাচাই করা: যারা মারা গেছেন বা অন্য জায়গায় চলে গেছেন, তাদের নাম কাটা, আর নতুনদের নাম যোগ করা।
-অফিসে জমা দেওয়া: সব ডেটা কালেক্ট করে সেটা নির্বাচন অফিসের অফিসারের কাছে জমা দেওয়া।
-ট্রেনিং ও অফিসে যাওয়া: ট্রেনিং নিতে যাওয়া, আর মাঝে মাঝে বিডিও (Block Development Officer) অফিসে খবর নেওয়া।
-ভোটারদের জানানো: যারা নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য, তাদের নাম লেখাতে বলা।

৪. শিক্ষকরা (BLO Duty Of Teachers) কেন এই কাজটা করতে চান না?

শিক্ষকরা (BLO Duty Of Teachers) বিএলও-এর কাজটা ঠিক পছন্দ করছেন না। এর কিছু কারণ আছে:
-স্কুলের ক্ষতি: বাড়ি বাড়ি ঘুরতে আর অফিসে যেতে গিয়ে স্কুলের পড়াশোনা লাটে উঠছে।
-নাগরিকত্ব নিয়ে ভয়: ভোটার তালিকা ঠিক করতে গিয়ে যদি নাগরিকত্বের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হয়, সেই চিন্তা।
-রাজনৈতিক চাপ: এলাকার নেতারা কাজের মধ্যে নাক গলাতে পারেন, যা তাদের জন্য সেফ নয়।
-বেশি খাটনি: এই কাজটা করতে অনেক সময় আর খাটনির দরকার। বারবার বাড়ি যেতে হয়, কাগজপত্র জোগাড় করতে হয়।
-শাস্তির ভয়: যদি ঠিকমতো কাজ না হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন নাকি শাস্তি দেবে, এই ভয়ে শিক্ষকরা কাজটা করতে চাইছে না।

৫. শিক্ষকের (BLO Duty Of Teachers) কী শাস্তি হতে পারে?

যদি শিক্ষকরা বিএলও-এর কাজটা ঠিকমতো না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এইগুলো করতে পারে:
-কারণ জানতে চাওয়া: প্রথমে তাদের বুঝিয়ে কাজটা করাতে চেষ্টা করবে, তারপর একটা নোটিশ ধরানো হবে। যেখানে জানতে চাওয়া হবে কেন তারা ঠিক মতো কাজ করছেন না।
-কড়া ব্যবস্থা: যদি নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হতে পারে। যেমন, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।
-আইনি ঝামেলা: ভুল তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের Representation of the People Act-এর ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

৬. শিক্ষক সংগঠনগুলো কী বলছে?

শিক্ষক সংগঠনগুলো এর (BLO Duty Of Teachers) বিরুদ্ধে এক হয়েছে। তারা যা করছে:
-মিটিং ডাকা: বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি একসঙ্গে মিটিং করছে।
-নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা: তারা কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে, যাতে এই নির্দেশের একটা কিছু ব্যবস্থা করা যায়।
-আইনি পথে হাঁটা: কিছু সংগঠন কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে। তারা বলছে, আগে পাঞ্জাব আর হরিয়ানা হাইকোর্ট নাকি শিক্ষকদের এই কাজ থেকে মুক্তি দিয়েছে।

৭. নির্বাচন কমিশন কী বলছে?

নির্বাচন কমিশন বলছে, বিএলও-এর কাজটা করতেই হবে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রের মতে:
-কমিশনের কথা মেনেই নোটিশ জারি করা হয়েছে।
-যদি কেউ কারণ ছাড়া কাজটা করতে না চায়, তাহলে প্রথমে তাকে বোঝানো হবে, তারপর নোটিশ দেওয়া হবে।
-যদি জবাব ঠিক না থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮. বিএলও-এর কাজটা জরুরি কেন?

বিএলও-রা কাজটা ঠিকঠাক করলে নির্বাচনটা পরিষ্কার আর ভুলের হাত থেকে বাঁচানো যায়। যেমন:
-ভোটার তালিকা ঠিক থাকে, মানে যারা মারা গেছেন বা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের নাম বাদ দেওয়া যায়।
-নতুন ভোটারদের নাম যোগ করা যায়, যাতে বেশি লোক ভোট দিতে পারে।
-ভোটারদের হাতে আইডি কার্ড গেলে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে মানুষের ভরসা বাড়ে।

৯. শিক্ষকদের জন্য কী করা যেতে পারে?

শিক্ষকদের সমস্যা আর কমিশনের কথা মাথায় রেখে কিছু জিনিস করা যেতে পারে:
-অন্য লোক খোঁজা: শিক্ষকদের বদলে অন্য সরকারি কর্মীদের এই কাজের জন্য রাখা যেতে পারে।
-ট্রেনিং ও নিরাপত্তা: শিক্ষকদের ভালো করে ট্রেনিং দেওয়া উচিত, যাতে তারা কোনো রকম রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না পরে।
-সময় বেঁধে দেওয়া: এই কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া উচিত, যাতে শিক্ষকদের স্কুলের কাজে ক্ষতি না হয়।

শেষ কথা:- বিএলও-দের কাজ ভোট প্রক্রিয়ার জন্য খুব দরকারি। কিন্তু এই কাজের জন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ দিলে তাদের পড়ানোর ক্ষতি হচ্ছে, আর শিক্ষকরাও মানসিক চাপে ভুগছেন। তাই নির্বাচন কমিশন আর শিক্ষক সংগঠনগুলোর একসঙ্গে বসে একটা সমাধান বের করা উচিত। যাতে শিক্ষকরাও তাদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারেন, আর ভোট প্রক্রিয়াও ঠিকঠাক চলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here