This Post Contents
WB SIR 2025: Document Requirement for WB SIR 2025-পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন ২০২৫!
WB SIR 2002 electoral rolls download:পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট ডাউনলোড!
District | Download Link |
---|---|
Coochbehar | Download for Coochbehar |
Jalpaiguri | Download for Jalpaiguri |
Darjeeling | Download for Darjeeling |
Uttar Dinajpur | Download for Uttar Dinajpur |
Dakshin Dinajpur | Download for Dakshin Dinajpur |
Malda | Download for Malda |
Nadia | Download for Nadia |
Howrah | Download for Howrah |
Hooghly | Download for Hooghly |
Paschim Medinipur | Download for Paschim Medinipur |
Purbo Medinipur | Download for Purbo Medinipur |
Bankura | Download for Bankura |
Purulia | Download for Purulia |
Birbhum | Download for Birbhum |
Murshidabad | Download for Murshidabad |
Paschim Bardhaman | Download for Paschim Bardhaman |
Purba Bardhaman | Download for Purba Bardhaman |
North 24 Parganas | Download for North 24 Parganas |
South 24 Parganas | Download for South 24 Parganas |
Kolkata North | Download for Kolkata North |
Kolkata South | Download for Kolkata South |
Alipurduar | Download for Alipurduar |
Kalimpong | Download for Kalimpong |
Jhargram | Download for Jhargram |
Please note that the availability and content of these links are managed by the Chief Electoral Officer, West Bengal. Some links may lead to further navigation on their website.
WB SIR 2025: Document Requirement for WB SIR 2025-পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন ২০২৫!
পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন ২০২৫: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা
২০২৫ সালের আগস্ট মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া। এই নির্দেশিকাটি আপনার বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে সমস্ত সংশয় দূর করবে। এনআরসি ও সিএএ বিতর্কের মধ্যে বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও এই বিশেষ সংশোধন শুরু হচ্ছে। বিহারে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গেও একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক মহলে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহের অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন কমিশন বিএলওদের প্রশিক্ষণ শুরু করায় এই প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এই সংশোধনে কী কী নথি লাগবে এবং কাদের নাম বাদ পড়তে পারে, তা বিস্তারিত জানতে এই সহজবোধ্য নির্দেশিকাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এটি আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে।
পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫ প্রক্রিয়া আগস্ট মাস থেকে শুরু হচ্ছে। এই পর্যায়ে সঠিক নথি জমা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনার জন্মসাল অনুযায়ী কোন ধরনের নথি প্রয়োজন, তা এই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এটি সহজবোধ্য ভাষায় তৈরি করা হয়েছে যাতে সবাই স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আপনার সময় বাঁচাবে এবং যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি দূর করবে।
প্রয়োজনীয় নথি এবং বয়সের ভিত্তিতে নির্দেশিকা
২০২৫ সালের ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশন ১১টি নির্দিষ্ট নথিকে পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই নথিগুলির যেকোনো একটি জমা দিয়ে আপনি আপনার কাজ সহজ করতে পারেন। মনে রাখবেন, নথিগুলি অবশ্যই সরকার বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান দ্বারা জারি করা হতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য এই কাগজপত্রগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বা অসম্পূর্ণ নথি জমা দিলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
১: জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৮৭-এর আগে
যদি আপনার জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৮৭ সালের আগে হয়ে থাকে, তবে এটি আপনার জন্য একটি ভালো খবর। আপনাকে কেবল একটি নথি জমা দিতে হবে। এই একটি নথি হিসেবে আপনি উল্লেখিত ১১টি নথির যেকোনো একটি দিতে পারেন। অথবা, যদি আপনার নাম ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে সেই তালিকার একটি ফটোকপি জমা দিলেই যথেষ্ট হবে এবং সেক্ষেত্রে অন্য কোনো নথির প্রয়োজন হবে না। এই সহজ পদ্ধতিটি আপনার কাজকে অনেক দ্রুত সম্পন্ন করবে।
২: জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৮৭ থেকে ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর মধ্যে
আপনার জন্ম তারিখ যদি ১লা জুলাই, ১৯৮৭ থেকে ১লা জানুয়ারি, ২০০২ সালের মধ্যে হয়, তাহলে আপনাকে মোট দুটি নথি জমা দিতে হবে।
নিজের জন্য:
আপনাকে তালিকাভুক্ত ১১টি নথির যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। যদি ২০০২ সালের মধ্যে আপনার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে থাকে এবং আপনার নাম সেই সময়ের ভোটার তালিকায় থাকে, তবে সেই তালিকার একটি কপিও গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যথায়, যদি ২০০২ সালে আপনার বয়স ১৮ না হয়ে থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই ১১টি নথির মধ্যে থেকে একটি জমা দিতে হবে।
বাবা বা মায়ের জন্য:
আপনার বাবা বা মায়ের যেকোনো একজনের জন্য একটি নথি প্রয়োজন হবে। এটি ১১টি নথির মধ্যে একটি হতে পারে, অথবা যদি তাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকে, তবে সেই তালিকার একটি কপিও জমা দেওয়া যেতে পারে।
৩: জন্ম ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর পরে
যদি আপনার জন্ম ১লা জানুয়ারি, ২০০২ সালের পরে হয়ে থাকে, তবে আপনাকে মোট তিনটি নথি জমা দিতে হবে।
নিজের জন্য:
যেহেতু আপনার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকার সম্ভাবনা নেই, তাই আপনাকে তালিকাভুক্ত ১১টি নথির যেকোনো একটি জমা দিতে হবে।
বাবার জন্য:
আপনার বাবার ক্ষেত্রে, উল্লিখিত ১১টি নথির একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি (যদি তার নাম সেখানে থাকে) জমা দিতে হবে।
মায়ের জন্য:
আপনার মায়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; ১১টি নথির একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি (যদি তার নাম সেখানে থাকে) জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় ১১টি নথি:
- কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকার বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে ইস্যু করা সচিত্র পরিচয়পত্র অথবা পেনশন পেমেন্ট অর্ডার।
- ভারত সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, এলআইসি বা যেকোনো সরকারি সংস্থা দ্বারা ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে ইস্যু করা যেকোনো পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট বা নথি।
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সার্টিফিকেট।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত মাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট।
- রাজ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ।
- অরণ্যের অধিকার আইন (Forest Rights Act) অনুযায়ী প্রদত্ত সার্টিফিকেট।
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা ওবিসি, এসসি, এসটি বা অন্যান্য জাতিগত সার্টিফিকেট।
- জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) সংক্রান্ত নথি (যদি প্রয়োজন হয়)।
- রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রস্তুতকৃত পারিবারিক রেজিস্টার।
- সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমি বা বাড়ির অ্যালটমেন্ট সার্টিফিকেট।
কারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন?
বিহারের ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন ২০২৫ প্রক্রিয়ায় বিপুল সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। এর প্রধান কারণগুলির মধ্যে ছিল মৃত ব্যক্তি, একই ভোটারের একাধিকবার নাম থাকা এবং অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হওয়া। পাশাপাশি, অনেকের কাছে প্রয়োজনীয় নথি বা বৈধ ঠিকানা ছিল না। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল ঘোষণা করেছে যে, যদি কোনো বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে, তবে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, কোনো যোগ্য ভোটারের নাম যেন তালিকা থেকে বাদ না যায়।
এই পরিস্থিতিতে, যখন ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন ২০২৫ শুরু হবে, তখন যার কাছে যে নথি আছে, তা দিয়েই আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মৃত বা অস্তিত্বহীন ভোটারদের নাম বাদ পড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে, যাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি নেই, তাদের জন্য কোনো বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
উপসংহার
২০২৫ সালের ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের জন্য সঠিক নথি জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্দেশিকাটি আপনাকে সহজবোধ্য ভাষায় প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছে। আপনার জন্ম তারিখের উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় নথির তালিকা ভিন্ন হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনে আপনার কাগজপত্র প্রস্তুত করুন। সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে এই সংশোধন প্রক্রিয়াটি মসৃণভাবে সম্পন্ন হবে এবং আপনার কাজটি দ্রুত শেষ হবে।
