৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: আদালতের আজকের দিনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
কলকাতা, ৩১শে জুলাই, ২০২৫ – বহুল আলোচিত ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়ে তাদের আইনজীবী অভ্রদূত বাবু বিচারপতির সামনে একাধিক জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন, যা বিচারককে প্রভাবিত করেছে বলে জানা গেছে। যদিও তিনি আজ তার সওয়াল শেষ করতে পারেননি, আগামীকাল তিনি আবারও তার বক্তব্য পেশের সুযোগ পাবেন। আজকের শুনানিতে যে মূল বিষয়গুলি উঠে এসেছে, সেগুলির একটি বিশদ বিবরণ নিচে দেওয়া হল:
১. সংরক্ষণ নীতি ভঙ্গের অভিযোগ এবং পূর্ববর্তী নির্দেশ:
আইনজীবী অভ্রদূত বাবু এদিন রিজার্ভেশন সংক্রান্ত দুটি পূর্ববর্তী হাইকোর্টের নির্দেশের উল্লেখ করেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, পূর্বের ওই নিয়োগ প্যানেলে সংরক্ষণ নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল, এবং সেই সংক্রান্ত মামলাগুলি শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বিস্ময়কর বিষয় হলো, বর্তমান আবেদনকারীদের একটি বড় অংশও ওই পূর্ববর্তী মামলাগুলির সাথে জড়িত ছিলেন। এর থেকে স্পষ্ট হয় যে, এই বিষয়টি আবেদনকারীদের কাছে নতুন নয়, এবং সম্ভবত আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২. অ্যাপটিটিউড টেস্টের বিতর্কিত দিক:
অ্যাপটিটিউড টেস্ট প্রসঙ্গে আইনজীবী বিচারপতির সামনে এমন কিছু দিক তুলে ধরেন যেখানে আবেদনকারীরা নিজেরাই কখনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলছেন, আবার কখনও বলছেন তা হয়নি। এই স্ব-বিরোধিতা প্রমাণ করে যে, পুরো বিষয়টি তাদের কাছেও ধোঁয়াশা নয়। এরপর তিনি আরও যুক্তিসহকারে প্রশ্ন তোলেন যে, যদি ধরে নেওয়াও হয় যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, তবে যারা প্রশিক্ষিত শিক্ষক এবং যারা এই পরীক্ষা দেননি, তারাও যদি একই দুর্নীতির অংশ হন, তাহলে শুধুমাত্র ৩২,০০০ শিক্ষককেই কেন এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? এই প্রশ্নটিও বিচারকের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
৩. প্যানেল প্রকাশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন:
এছাড়াও, নিয়োগ প্যানেলের তালিকা কেন ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করে সরাসরি ডিপিএসসিতে পাঠানো হয়েছিল, সেই বিষয়েও আইনজীবী অভ্রদূত বাবু বেশ কিছু তথ্য ও প্রমাণ বিচারকের সামনে উপস্থাপন করেন। আজকের এই শুনানিতে মামলার একাধিক জটিল দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল আবারও শুনানি হবে এবং এই মামলার পরবর্তী অধ্যায়ের দিকে সবার নজর থাকবে। সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের ফলো করুন।