This Post Contents
তাজা খবর: মমতার আপত্তির পরও বুথ এজেন্টদের নাম চেয়ে কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের!
হাইলাইটস
- দেশজুড়ে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু
- দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের নাম চেয়েছে কমিশন
- মমতার আপত্তি সত্ত্বেও কড়া সিদ্ধান্ত
- ১২০০-র বেশি ভোটার বিশিষ্ট বুথে পুনর্বিন্যাসে জোর
দেশের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন: কমিশনের প্রস্তুতি
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে, দেশের সমস্ত রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision) শুরু হতে চলেছে। বিহারে ইতিমধ্যেই এই কাজ ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে আরম্ভ হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) স্পষ্ট বার্তা – সংশোধন শুরু হওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
কী নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন?
কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দ্রুত তাদের বুথ লেভেল এজেন্ট (Booth Level Agent – BLA) নিযুক্ত করে তাদের নামের তালিকা লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। কারণ, ভোটার তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়া চলাকালীন মাঠপর্যায়ে এই এজেন্টদের থাকাটাই কার্যকরী ও জরুরি বলে মনে করছে কমিশন।
মমতার আপত্তির মুখেও অনড় কমিশন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, “এজেন্ট কেনার চক্রান্ত করছে কমিশন, এজেন্ট কেনার, এজেন্সি দিয়ে ধরা, এসব করতে চাইছে; তাই এজেন্টদের নাম কেন দেব?” তারপরেও, কমিশন তাদের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে – প্রত্যেক দলের বুথ এজেন্টদের বিস্তারিত নাম চাই।
উল্লেখযোগ্য পয়েন্টসমূহ:
- ১,২০০-র বেশি ভোটারবিশিষ্ট বুথগুলিতে ফের পুনর্বিন্যাস করবে কমিশন।
- সমস্ত শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করতে বলা হয়েছে (বিএলও, বিএলও সুপারভাইজার, ইআরও, এইআরও)।
- প্রতিটি বুথে আলাদা বিএলও নিযুক্ত করারও নির্দেশ।
- প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিয়োগ করা বুথ লেভেল এজেন্টদের নামবোর্ড খুব শিঘ্র জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র ও তথ্য জমার নিয়মাবলী
মূলত, রাজ্যের নির্বাচন দপ্তরকে অনলাইনে গুগল ফর্মের মাধ্যমে সমস্ত বুথ, নিযুক্ত বিএলও, সুপারভাইজার এবং দলের বিএলএ-র হিসেব দ্রুত জানাতে হবে। তথ্য ই-মেল বা চিঠির মাধ্যমে পাঠানোর আগে গুগল ফর্ম পূরণ করাই বাধ্যতামূলক।
উপসংহার
দেশজুড়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বড় চর্চার বিষয়। মমতার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কমিশনের স্পষ্ট বার্তা – গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাই মূল লক্ষ্য, তাই নির্ধারিত নিয়ম মানতে সরকারের কোনও ছাড় নেই।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১. নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল এজেন্টদের (BLA) নাম চাওয়ার কারণ কী?
নির্বাচন কমিশন চায়, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা (BLA) যেন মাঠ পর্যায়ে উপস্থিত থাকেন এবং কোন তথ্য ভুল হলে সেটি চিহ্নিত করতে সাহায্য করেন। এতে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা বজায় থাকে।
২. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে কমিশন বুথ এজেন্টদের নাম চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে এবং স্বচ্ছতা বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি মনে করেন, এজেন্টদের ডেটা অপর উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে।
৩. সব রাজনৈতিক দলকেই কি এজেন্টদের নাম জমা দিতে হবে?
হ্যাঁ, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তাদের নিয়োগকৃত বুথ লেভেল এজেন্টদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয়েছে।
৪. ১২০০-র বেশি ভোটারবিশিষ্ট বুথ পুনর্বিন্যাসের উদ্দেশ্য কী?
যেসব বুথে ভোটার সংখ্যা ১,২০০-র বেশি হয়ে যায়, সেগুলি ভাগ করা হলে প্রতিটি বুথে ভোটদাতাদের চাপ কমবে এবং মসৃণভাবে ভোট গ্রহণ করা যাবে।
৫. গুগল ফর্ম পূরণ করাটা কেন বাধ্যতামূলক?
তথ্য দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করার জন্য কমিশন অনলাইন ফর্ম চালু করেছে। এতে সময় বাঁচে এবং তথ্যগুলো সেন্ট্রালাইজডভাবে সংরক্ষিত হয়।
৬. বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং সুপারভাইজারের ভূমিকা কী?
বিএলও এবং তাদের সুপারভাইজাররা সংশোধন প্রক্রিয়ার তদারকি করেন, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ, যাচাই ও আপডেটসহ প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি দেখেন।
৭. এই সংশোধন প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হয়েছে?
বিহারে ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে সংশোধন শুরু হয়েছে এবং অন্য রাজ্যগুলোতে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দ্রুত শুরু হবে।
৮. তথ্য জমা না দিলে কী সমস্যা হতে পারে?
সংশ্লিষ্ট দল বা এলাকার ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজতে দেরি হতে পারে এবং তথ্যের স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।