This Post Contents
৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি বাতিল মামলা: কলকাতা হাইকোর্টের বড় পর্যবেক্ষণ!
WB Primary 32000 case- কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি বাতিল মামলা ঘিরে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।একটি গুরুত্বপূর্ণ শুনানিতে আদালত মন্তব্য করেছে যে, যদি অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে ১২,০০০ প্রশিক্ষিত প্রার্থীর নিয়োগও একই ত্রুটির কারণে প্রভাবিত হতে পারে। এর ফলে ৪২,৯৪৯টি চাকরি বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে!
👉 মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু(WB Primary 32000 case):
- সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘন
- প্যানেল প্রকাশ না করা
- অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি
- দুর্নীতির অভিযোগে নির্দিষ্ট প্রমাণের অভাব
- প্রশিক্ষিত বনাম অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর বৈষম্য
মামলার প্রধান দিকগুলি (Highlights)
বিষয় | মামলাকারী পক্ষ | আদালতের পর্যবেক্ষণ |
---|---|---|
সংরক্ষণ নীতি | এসসি প্রার্থীকে জেনারেল কোটা থেকে আবেদন করতে দেওয়া হয়নি | প্রার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী বিবেচনা করা উচিত |
প্যানেল প্রকাশ | কোনও অফিসিয়াল প্যানেল প্রকাশ হয়নি | আইন অনুযায়ী আলাদা বাধ্যতামূলক উল্লেখ নেই |
অ্যাপটিটিউড টেস্ট | অনেক প্রার্থীর টেস্ট হয়নি | কেউ বলছে হয়েছে, কেউ বলছে হয়নি – বিভ্রান্তি তৈরি |
দুর্নীতির অভিযোগ | নিয়োগে টাকা লেনদেন হয়েছে | সুস্পষ্ট প্রমাণ আদালতে হাজির হয়নি |
চাকরি বাতিলের প্রশ্ন | ৩২,০০০ চাকরি বাতিলের দাবি | আদালত বলছে “যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব নয়” |
To Calculate Primary Teachers Recruitment Weightage-Click Here
হাইকোর্টের দ্বিধা: কী হবে শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ?
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী স্পষ্ট করে দিয়েছেন –
❝আদালতের পক্ষে আলাদা করে বলা সম্ভব নয় কারা দুর্নীতিগ্রস্তভাবে চাকরি পেয়েছে আর কারা পায়নি। যদি চাকরি বাতিল হয়, প্রায় ৩২,০০০ পরিবার বিপদের মধ্যে পড়বে। আবার দুর্নীতি প্রমাণিত হলে, অযোগ্য প্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরি করে যাবে।❞
মামলার ইতিহাস
- ২০১৪: প্রাইমারি TET পরীক্ষা নেওয়া হয়।
- ২০১৬: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রায় ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করে।
- ২০২৩ সালের ১২ মে: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন (পরবর্তীতে কমে ৩২,০০০ হয়)।
- ২০২৩ সালের ১৫ মে: ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়।
- ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর: বর্তমান শুনানিতে আবার আদালতের পর্যবেক্ষণ সামনে আসে।
- আগামী শুনানির তারিখ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
আদালতের প্রশ্নগুলি
- যোগ্য আর অযোগ্য প্রার্থীকে কীভাবে আলাদা করা সম্ভব?
- প্যানেল প্রকাশের পদ্ধতি সঠিকভাবে হয়েছে কি না?
- দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়?
- এত বছরের চাকরি অভিজ্ঞতা থাকা শিক্ষকরা হঠাৎ চাকরি হারালে কে দায়ী থাকবে?
পরবর্তী পদক্ষেপ
➡ আদালত মামলাকারী পক্ষকে স্পষ্ট আইনি উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
➡ ১১ সেপ্টেম্বর আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানি করবে।
➡ CBI ও ED-এর তদন্ত রিপোর্ট এই মামলার ভবিষ্যত নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবে।
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQs)
প্রশ্ন ১: কবে নিয়োগ হয়েছিল?
২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৪ সালের TET এর ভিত্তিতে।
প্রশ্ন ২: কার চাকরি বাতিলের আশঙ্কা রয়েছে?
প্রায় ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক, এমনকি ১২,০০০ প্রশিক্ষিত শিক্ষকও এই মামলার আর্কে আসতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: আদালত কেন অবাক অবস্থায়?
কারা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছে আর কারা দুর্নীতিতে জড়িত, তা আলাদা করে প্রমাণ করা কঠিন।
প্রশ্ন ৪: পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ তারিখ কোনটি?
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রশ্ন ৫: CBI ও ED-এর ভূমিকা কী?
CBI-ED তদন্ত করছে সব নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। তাদের রিপোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে।
উপসংহার
“৩২,০০০ শিক্ষক চাকরি বাতিল মামলা” রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। আদালতকে এখন একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে—
👉 একদিকে হাজার হাজার পরিবারের ভবিষ্যৎ,
👉 অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি রোধের কঠোর বার্তা।
👉 সব নজর এখন ১১ সেপ্টেম্বর-এর শুনানির দিকে।