সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ‘ধোঁয়াশা’, বড়সড় বেতন বঞ্চনার আশঙ্কায় প্রাথমিক শিক্ষকরা । কিছু দিন আগেই ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা যেহেতু বাড়ানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তাই যোগ্যতা অনুসারে বেতন বৃদ্ধি দাবি জানিয়ে যে অনশনে বসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকিরা । তার পর শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে এবং সেই মত শিক্ষা দপ্তর থেকে নোটিশ পাব্লিশ করা হয়েছিল গত ২৬ শে জুলাই।
এবং তারাপরেই এক নতুন সমস্যার সূত্রপাত। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন মনে করছেন যে ঐ সরকারি বিবৃতি ‘ধোঁয়াশায় ভরা’,সেখানে না আছে কোনও পে প্রোটেকশনের কথা,না আছে কোনও সুত্র যে কোন নিয়ম মেনে বেতন বৃদ্ধি হবে না আছে নতুন এবং পুরনো শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর মধ্যে সামঞ্জস্য কি ভাবে রাখা হবে। এবং সর্বোপরি না আছে কোন ফর্মুলা মেনে হবে এই বেতন বৃদ্ধি।
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো যদি লক্ষ্য করা যায় সেই ক্ষেত্রে দেখা যাবে গ্রেড পে তো সবার ক্ষেত্রে এক নয় অর্থাৎ ২৩০০ বা ২৬০০ নয়। নতুনদের ক্ষেত্রে গ্রেড পে এক রকম(২৬০০ ) হলেও , যাঁরা ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গ্রেড পে আর এক রকম, প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে গ্রেড পে আর এক রকম। ফলে সরকারি যে নির্দেশ গ্রেড পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দের ২৬০০ থেকে ৩৬০০ এবং প্রশিক্ষণহীন দের ক্ষেত্রে ২৩০০ থেকে ২৯০০ করা বলা হয়েছে ,অনেক শিক্ষক এই মধ্যে পরছেন না ফলে তাঁদের মধ্যে ‘ধোঁয়াশা’ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন যে যে দাবি গুলো করছেন ঃ-
১) শিক্ষকদের বেসিক পে আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করে নতুন বেতন নির্ধারণ করা এবং অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট বেবস্থা করা।
২) প্রধান শিক্ষক (হেড টিচার)-দের গ্রেড পে বাড়ানোর বিষয়টিও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা এবং তাঁদের গ্রেড পে ন্যূনতম ৩৯০০ টাকা করা।
৩) এরিয়ার প্রদান করা অর্থাৎ যে শিক্ষকরা এনসিটিই-র নিয়ম মেনে যেদিন শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি বা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের বর্ধিত বেতন যেন সেদিন থেকেই কার্যকর করা হয় ।