দু’মাসের ছুটি নিয়ে বিতর্ক শেষ হতে গিয়েও শেষ হচ্ছে না। শুধু ক্লাস বন্ধ নয়, এই দু’মাস স্কুলই পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। নতুন নির্দেশে এই দু’মাসের ছুটিকে তিন ভাগে ভাগ করে বোঝানো হয়েছে। প্রথম হচ্ছে ৩ ও ৪ তারিখ ফোনির জন্য ছুটি,দ্বিতীয় ৬ মে থেকে ২০ মে অতিরিক্ত গরমের জন্য এবং ২০ মে পরে স্কুলে যেমন গরমের ছুটি আছে সেই রকম থাকবে ।
তৃতীয় হচ্ছে যখন স্কুল খুলবে গরমের ছুটির পর তখন থেকে ৩০ জুন অব্দি আবার অতিরিক্ত গরমের জন্য ছুটি,কিন্ত জানা যাচ্ছে তৃতীয় যে ছুটি টির কথা বলা হচ্ছে সেটা আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এখন যেহেতু টানা দু’মাস স্কুল ছুটি থাকবে তাহলে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল কি হবে কারণ যাদের পুষ্টি মিড-ডে মিলের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। ছুটি মিললেও ওই সময়ে তারা দুপুরের খাবার পাবে না। স্কুলে গেলে পেট যেটুকু ভরত, ছুটি তা ভরাতে পারবে না। এই অবস্থায় ছুটি চলাকালীন মিড-ডে মিল চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কি না, থেকেই যাচ্ছে প্রশ্ন।
আরও প্রশ্ন উঠেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ স্কুলই গ্রামাঞ্চলে , পড়ুয়ারা আসে দারিদ্রসীমার নীচের পরিবার থেকে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের মাধ্যমেই দুপুরে আহার ও কিছুটা পুষ্টি পায় ।
বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠন দাবি জানিয়েছেন যে কিভাবে এই সময়ে মিড ডে মিল চালু করা যায় তা নিয়ে সরকার এবং শিক্ষা দফতর তা পর্যালোচনা করুক। এবং তারা এও দাবি জানিয়েছে যে এই ছুটি নিয়ে একবার আলোচনা করা হোক কিভাবে syllabus শেষ করা যাবে ।।
।।।ধন্যবাদ ।।।
<?php pvc_stats_update( $postid, 1 ); ?>