Primary 2014 CBI Case-লেটার হেড সুপারিশ আসল তথ্য,ফরেন্সিকে নথি পরীক্ষায় আপত্তি কেন?,ক্লাস টেস্ট নাকি,খেয়াল অনুযায়ী নম্বর!,very big

0
27

Primary 2014 CBI Case– এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ একাধিক মামলার আপডেট তথ্য সামনে এসেছে। মঙ্গলবার কোলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের {Primary 2014 CBI Case} অনিয়মের অভিযোগ তুলে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে ,তাঁর অনেক আপডেট সামনে এসেছে। গত কালকে কোলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকের সিঙ্গেল বেঞ্চের {টেটের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (Primary 2014 CBI Case)তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়} নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার ও পর্ষদ। গতকালে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলাটি।

Primary 2014 CBI Case-মঙ্গলবার আদলতে পর্ষদ স্বীকার করে নেয় প্রশ্ন ভুল ছিল যার জন্য ঐ সমস্ত আবেদনকারীদেরকে ১ নাম্বার করে দেওয়া হয়েছিল ,তাঁদের {চাকরিপ্রার্থীদের} আবেদনের ভিত্তিতে। যাঁরা আবেদন করেননি, তাঁদের দেওয়া হয়নি। পর্যদের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার তালুকদারের মন্তব্য, “তা হলে বলতে হবে, আপনার মনে হল কিছু ব্যক্তিকে আপনি এক নম্বর দেবেন, আর সেটা দিলেও দিলেন! এটা কি ক্লাসটেস্ট পরীক্ষা নাকি, মনে হল ছাত্রদের এক নম্বর দিতে হবে, দিয়ে দিলাম।”

আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ সামনে আসে গত কালকে। আদালত {বিচারপতি তালুকদার} নিজেদের পর্যবেক্ষণে মন্তব্য, “নিয়ম যে মানা হয়নি তা তো বোঝাই যাচ্ছে। এখন আপনারা কি মনে করেন না যে, তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে? কে তদন্ত করবে সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে।”

Primary_2014_CBI_Case
Primary 2014 CBI Case{file image}

To Read more news about Primary TET Recruitment Click Here

Primary 2014 CBI Case

Primary 2014 CBI Case-২০১৪ টেটের ভুল ছিল প্রশ্নই! এই কথা আদালতে মেনে নেয় পর্ষদ। প্রশ্ন ভুল মামলার জেরে নম্বর দিতে বাধ্য হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! এর ফলে ২০১৪ সালের টেটের সব পরীক্ষার্থীরই এই নাম্বার যোগ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু সেই প্রাপ্য নম্বর সবাইকে দেওয়া হয়নি। বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সিংহভাগ চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মৌখিকভাবে একথা মেনে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদিও এর নেপথ্যে কোনও অপরাধমূলক মানসিকতা নেই বলে দাবি করেছেন পর্ষদ আইনজীবী। তাঁদের যুক্তি ২০১৭ সালে পর্ষদ প্রশ্ন ভুলের জন্য ১ নাম্বার করে দেয়, কোর্ট ২০১৮ সালে ৬ নাম্বার করে দিতে বলে প্রশ্ন ভুলের জন্য ! পর্ষদ আবেদনের ভিত্তিতে এই ১ নাম্বার বরাদ্দ করে! এর ফলে তাঁদের তরফে থেকে কোনও অনিয়ম করা হয় নি!

তবে সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চে পর্ষদকে নিয়োগ পরীক্ষায় ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য কিছু প্রার্থীকে নম্বর দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট { প্রতিভা মণ্ডলের প্রশ্ন ভুল}মামলার শুনানিকালে কোর্টে জানানো হয়েছিল কি না, সেই জিজ্ঞাসার জবাবে অবশ্য রাজ্যের তরফে বলা হয়, নম্বর দেওয়ার বিষয়টি তখন আদালতকে জানানো হয়নি!

Primary_2014_CBI_Case
Primary 2014 CBI Case{file image}

উল্লেখ্য, ভুল প্রশ্নের প্রাপ্ত নম্বরের সুবাদেই ২৭৩ জনের মধ্যে ২৬৯ জন টেট-উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন বলে খবর উঠে এসেছিলো। সেই নিয়োগ ঘিরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কোলকাতা হাইকোর্টে একক বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। বরখাস্ত করা হয় ঐ ২৬৯ জনকে।

আদালত সব পক্ষকে লিখিতভাবে বক্তব্য পেশ করতে বলেছিল। কিন্তু, পর্ষদ এদিন তা পেশ করতে পারেনি। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত! ক্ষুব্ধ হয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “নিজেদের বক্তব্য এখনি পেশ করতে পারলে করুন, না পারলে নিজেদের হেফাজতেই রাখুন।”

তখন নিজেদের ভুল মৌখিকভাবে মেনে নেন পর্ষদের আইনজীবী। তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, যেহেতু তাঁরা ১ নাম্বার করে ২০১৭ সালে বাড়িয়েছিল প্রশ্ন ভুলের জন্য ২০১৪ টেট থেকে , কোর্ট ঐ একই টেট থেকে ৬ নাম্বার করে বাড়াতে আদেশ দিয়েছিল ২০১৮ সালে ,তাই তরফে কোনও ভুল হয় নি! তাই এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই।

তা শুনে বেঞ্চের বক্তব্য, এটি ক্লাস টেস্ট নয়। কাউকে নম্বর দেওয়া হল, কাউকে হল না। পরে বৈষম্য সামনে আসতে বাকিদেরও নম্বর দিয়ে দেওয়া হল। এমন পরিস্থিতিতে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, নিজেদের অনিয়মের তদন্ত নিজেরাই করবেন, এটা হতে পারে না। তাই সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। আগামী কাল, ৭ জুলাই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিভিন্ন{Primary 2014 CBI Case} নোটিশ ডাউনলোড করতে হলে – এখানে ক্লিক করুন।

লেটার হেড সুপারিশ মামলা{Primary 2014 CBI Case}

Primary_2014_CBI_Case
Primary 2014 CBI Case

অন্যদিকে, এই দিকে ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি অনুসন্ধানে {সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে} সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার দাবিতে দায়ের করা হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা,প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন তার শুনানিতে দুর্নীতির জন্য শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দিকে আঙুল তুলেছেন মামলাকারী বিজেপি নেতার আইনজীবী। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন তৎকালীন বিধায়ক নিজেদের লেটার হেডে নাম লিখে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। ঐ তিনজন তৎকালীন বিধায়কের মধ্যে একজন বর্তমানে রামনগরের এমএলএ তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। বাকি দু’জন অসীম মাঝি এবং মুকুল রায়-পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁদের পাঠানো সেই সুপারিশপত্রও পেশ করা হয় এজলাসে।

যদিও মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকার ! রাজ্যে বক্তব্য ৫ বছর আগে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েগিয়েছে , সেই নিয়োগ নিয়ে এখন কিভাবে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? যে লেটার হেড জমা করা হয়েছে তার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই! এই দিকে এই মামলাটি কোনও চাকরি প্রার্থী নয়, মামলাটি দায়ের করেছে একজন বিজেপী নেতা ! তাই এই মামলাটিকে খারিজ করে দেওয়া হোক।

অন্য দিকে মামলাকারীদের আইনজীবী যুক্তি ,” ২০২২ সালে এসেও ঐ টেট থেকে নিয়োগ করা হয়েছে অনেক প্রাথমিক শিক্ষককে” তাহলে কেন এই মামলা হবে না? সব পক্ষ শুনে জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই দিকে যে লেটার হেড নিয়ে এত চাঞ্চল্য সেই লেটার হেড নিয়ে ঐ তিন নেতার বক্তব্য সামনে এসেছে বর্তমান পত্রিকায়। নীচে পেপারের অংশটি তুলে ধরা হল-

“এই অভিযোগের জবাবে এদিন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ‘আমার লেটারহেড অন্য কেউ ছাপিয়ে এই কাজ করতে পারে। তাতে আমার স্বাক্ষর রয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে।’ একই দাবি অসীম মাঝির। প্রাক্তন বিধায়কের দাবি, ‘আদালতে যে চিঠিটি জমা পড়েছে বলা হচ্ছে, তা আমি দেখিনি। ফলে এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। আদালত কিংবা তদন্তকারী সংস্থা জানতে চাইলে উত্তর দেব।’ শুভ্রাংশু অবশ্য বলেন, ‘একটি লেটার হেডে রেফারেন্স নম্বর থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে বুঝলাম, লেটার হেডটি আমার নয়। হাতের লেখাও আমার নয়। বিধায়কের স্ট্যাম্প যে কেউ তৈরি করে নিতে পারে।’

অর্থাৎ ঐ লেটার হেডের সত্যতা নিয়ে খোদ ঐ নেতরাই প্রশ্ন তুলেছেন।

ফরেন্সিকে নিয়োগ-নথি পরীক্ষায় আপত্তি কেন, প্রশ্ন কোর্টের

প্রাথমিকের অন্য একটি মামলায় {২০১৪ টেটে অনিয়ম করে নিয়োগ } আরও একটি আপডেট সামনে এসেছে। CBI তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে কোলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাতে আপত্তি তোলা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্ন কোর্ট পর্ষদকে করে ! এর কোনও সদুত্তর রাজ্য ও পর্ষদের কাছে থেকে পাওয়া যায়নি বলে খবরে উঠে এসেছে !

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিভিন্ন Court Case এর আপডেট পেতে হলে এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here