প্রাথমিক ভুল প্রশ্ন মামলা আবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ উঠতে চলেছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রয়েছে বিভিন্ন মামলার ফলে।লাস্ট যে পরীক্ষা হয়েছিল সেটা হয়েছিল 2015 সালে । ফলে দীর্ঘ 4 বছর কোনও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় নি। 2017 সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া জন্য ফর্ম পূরণ করানো হলেও সেই টেট এর দিনক্ষণ এখনও প্রকাশ করা হয় নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবে চাকরিপ্রার্থীরা এই সমস্ত মামলার দিকে তাকিয়ে আছে যাতে এই সমস্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে নতুন টেট এর বা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু আপডেট যেন বেরিয়ে আসে।
কি এই ভুল প্রশ্ন মামলা ? প্রাথমিকে যে টেট 2015 সালে পরীক্ষা হয়েছিল সেই পরীক্ষার কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অভিযোগ করে মামলা করে কিছু চাকরিপ্রার্থী।যেটা “প্রতিভা মন্ডল প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন মামলা” নামে বেশি পরিচিত এবং কোর্ট রায় দেয় 3 অক্টোবর 2018 সালে 6 থেকে 7 টি (আনুমানিক) ভুল প্রশ্ন ছিল। কোর্ট রায় দেয় যদি ঐ ভুল প্রশ্ন গুলির নাম্বার দিয়ে মামলাকারীর টেট পাস মার্ক পায় তাহলে পর্ষদকে চাকরীর বেবস্থা করতে হবে।কিন্তু দীর্ঘ প্রায় 10 মাস কেটে গেলেও তাঁদের চাকরীর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া “contempt of court order” case file হয়।
এই দিকে ঐ মামলা দেখে আরও কিছু চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলে যে কেবলমাত্র ওই মামলাকারীরা (প্রায় 500 জন ) কেন সুযোগ পাবে সবায় পরীক্ষা দিয়েছিল তাই সবায় কে ঐ সুযোগ করে দেওয়া হোক এই নিয়ে তারাও মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ এ। কিন্তু কোর্ট তাঁদের এই আবেদন কে খারিজ করে দেয়। এটা “বসির আমহেদ ভুল প্রশ্ন মামলা” নামে বেশি পরিচিত।
তাই বসির আমহেদরা এই কেস টি সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করে এবং সেখানে পর্ষদ কোর্টকে জানায় যে পুরাতন নিয়োগ প্রক্রিয়া তারা সম্পন্ন করে ফেলেছে এবং সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করতে কেন মামলা করা হচ্ছে। তারা এও জানায় যে এর জন্য পর্ষদ MAT (TENDER OF MAND APPL ) ফাইল করে রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টে।
তখন মহা মান্য উচ্চতর আদালত জানায় যে সমস্ত প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন মামলা একত্রিত করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ শুনানী করতে বলে। ফলে ঐ কেস আবার কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ফিরে আসে।
আগামী 13th আগষ্ট এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আবার উঠতে চলেছে । শুনানীর জন্য।
এবং মনে করা হচ্ছে ঐ দিন হয়তো বা এই কেসের ফাইনাল রায় বেরিয়ে আসতে পারে। লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছে কারণ এই মামলার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য জড়িয়ে আছে।
আমরা 13th আগষ্ট এর দিকে তাকিয়ে থাকবো সেই দিন এই কেস নিয়ে কোনও আপডেট বেরিয়ে আসে কি না তার জন্য !
সর্ব প্রথম আপডেট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটি এবং FACEBOOK PAGE টি ফলো করুন ।