কোথায় গেল শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি? নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন টেট উত্তীর্ণ চাকরী প্রার্থীদের!

0
11

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে লাস্ট পরীক্ষা হয়েছিল সেটা হয়েছিল ২০১৫ সালে এবং সেই সমস্ত উত্তীর্ণ চাকরীপ্রার্থী চাকরীতে যোগ দেয় সমস্ত প্রসেস কমপ্লিট করে ২০১৭ নাগাদ। তার পর আবার ফর্ম ফিলাপ করা হয় ২০১৭ সালে তার পর সেই পরীক্ষার কোনও খোঁজ খবর নেয়। এর মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু সেই টেট পরীক্ষা ২০১৭ যেটার ফর্ম ফিলাপ হয়েছিল তার কোনও আপডেট দিতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

ঐ পরীক্ষা নিয়ে অনেক অবাভ অভিযোগ আছে চাকরীপ্রার্থীদের মধ্যে। তার মধ্যে যে গুরুতর অভিযোগ ভুল প্রশ্ন সেটাও উঠে ছিল কোর্টে সেখানে কোর্ট পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় যে ২০১৫ প্রাথমিকে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ভুল প্রশ্ন ছিল। কোর্ট আরও জানায় যে সমস্ত মামলাকারী আছে তাঁদের কে ঐ ৬ কিংবা ৭ টি যে ভুল প্রশ্নও আছে সেই নাম্বার দিয়ে যদি দেখা যায় তাঁরা পাস মার্ক পাচ্ছে তাহলে তাঁদেরকে চাকরীতে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেই রায় দীর্ঘ ১০ মাস হয়ে গেলও তাঁদের নিয়োগ সম্পর্কে কোনও আপডেট এখনও অব্দি আসে নি । এই মামলা দেখে আরও কিছু চাকরীপ্রার্থী মামলা করেন যে কেন শুধু ঐ ৫০০ জন(প্রায়) কে সুযোগ দেওয়া হবে সুযোগ পেলে সবায় পাবে।সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট হয়ে এখনও কলকাতা হাই কোর্টে চলছে। শুধু একটা করে দিন পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঐ সমস্ত মামলা কবে নিষ্পত্তি হবে সেই দিকে তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ চাকরীপ্রার্থী ।

শিক্ষামন্ত্রী ভোটের ঠিক পরে পরে জানিয়ে ছিলেন যে শুধু মাত্র বিভিন্ন মামলার কারনে কোনও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। সেটা হোক মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক বা হোক প্রাইমারি। এবং সেই সময় কোর্টে কর্ম বিরতি চলছিল। তিনি এও জানিয়ে ছিলেন যে কোর্ট খুল্লেই এই সমস্ত মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেই দিকে সরকার উচিত পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে যদিও এক এক করে প্রায় সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে বা চলছে কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনও মুভ মেনট হচ্ছে না।

তাই এবার প্রাথমিক চাকরীপ্রার্থীরা ১৯শে অগস্ট অনশন এবং আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এও খবর পাওয়া যাচ্ছে যে সরকারি গড়িমসির কারণে টেট উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পেয়ে এবার রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রাথমিক সংসদ বা ডিপিএসসির দপ্তরে গণ-আবেদন করছেন একাংশ চাকরিপ্রার্থীরা ৷  

যদিও নজরুল মঞ্চে শিক্ষা মন্ত্রী পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে সারপ্লাস শিক্ষক দের বদলি করে, পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিকে এনে এবং পর্যাপ্ত শূন্য পদ দেখে তবেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে এখন দেখার বিষয় এই ,যে সমস্ত পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীরা নিচ্ছে এতে নতুন টেট বা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু বেড়িয়ে আসে কিনা সেটাই । 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here