WB Primary Court Case 2022 -প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের! ভুল আপনাদের,টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ভর্ৎসনা হাইকোর্টের!
কিছু আধিকারিক ও আমলার অপদার্থতায় কারনে আজকে কোর্টে ফের ভর্ৎসনার শিকার হল প্রাথমিক পর্ষদ। টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ভর্ৎসনা হাইকোর্টের। টেট দুর্নীতির নানা টালবাহানার জন্য যদি পরীক্ষার্থীর বয়স পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তবে তার দায় নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই। সোমবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা (WB Primary Court Case 2022) হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসৎ আচরণের জন্য বিখ্যাত, কিছু আধিকারিক ও আমলার অপদার্থতায় আসল যোগ্যরা সুযোগ পান না’- প্রশ্ন ভুল মামলায় মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
WB Primary Court Case 2022
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের জন্য,৬ নাম্বার প্রায় ঐ মামলাকারী নেফাউর শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। নেফাউরের দাবি, তিনি ২০১৪ সালে টেট (WB Primary TET) পরীক্ষা দিয়েছিলেন,কিন্তু পাশ করতে পারেননি। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর টেটে নিয়োগ সংক্রান্ত বঞ্চনার কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঐ মামলাকারী। তাঁর দাবি ২০২১ সালে, পর্ষদ জানায়, তিনি অতিরিক্ত ৬ নম্বর পেয়েছেন এবং পাসও করেছেন। কিন্তু ততদিনে,তাঁর বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে, ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি তিনি। এই সমস্যার কথা জানিয়ে,আদালতের দ্বারস্থ হন।
আপনারা জানেন যে, ঐ প্রশ্ন ভুল মামলা থেকে ইতিমধ্যেই অনেকে চাকরি পেয়েছেন। প্রশ্ন ভুলের মূল মামলার রায় সামনে আসে প্রতিভা মণ্ডলের কেস থেকে গত ০৩/১০/২০১৮ সালে!
তারই প্রেক্ষিতে এদিন, নেফাউর শেখকে ইন্টারভিউয়ে বসানোর নির্দেশ দেন, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতকে তিনি জানিয়েছিলেন, টেটের (WB Primary Court Case 2022) ভুল প্রশ্নের জন্য তাঁর ৬ নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি। পর্ষদের ভুলের জন্য তিনি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন । তাঁরই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, প্রাথমিকের নিয়োগে সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলেই। তাই তার খেসারতও তাদেরই দিতে হবে।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ- ভুল আপনাদের, চাকরি প্রার্থীর বয়স বাড়লেও ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ, ৪ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে। ইন্টারভিউয়ে ভিত্তিতে মেধাতালিকায় স্থান পেলে চাকরি দিতে হবে! টালবাহানার জন্য যদি পরীক্ষার্থীর বয়স পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তবে তার দায় নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই।
আজকে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিয়োগের পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে।” দরকারে উত্তীর্ণ অথচ বয়স পেরিয়ে যাওয়া ঐ প্রার্থীদের জন্য পর্ষদকে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তবে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, সোমবার এই মামলা চলাকালীন পর্ষদকে ভর্ৎসনাও করতে শোনা যায় তাঁকে। বিচার চলাকালীনই তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য বিখ্যাত। আসল যোগ্যরা সুযোগ পায় না কিছু আধিকারিক ও আমলাদের অপদার্থতায়।“