মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন?’ভয়ঙ্কর তথ্য! হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা সিবিআইয়ের।

0
255

প্রাইমারি টেট ২০১৪ ওএমআর মামলা-মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রিপোর্ট তলব করলেন!আগামী ৪ই অক্টোবর সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণকুমার সুদকে সরাসরি রিপোর্ট দিতে হবে। ওই দিন দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শুনানিতে হাজিরা দিতে পারবেন। “মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন?” প্রাইমারি টেট ২০১৪ ওএমআর মামলায় সিবিআই অধিকর্তার রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের!

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক বছর হতে চলল, সিবিআই এখনও কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারনি।


টাকার লেনদেন নিয়েও কোনও প্রশ্ন করা হয়নি বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি!
কাকে টাকা দিয়ে চাকরি তার উত্তর নেই সিবিআই এর কাছে নেই বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি!

সিবিআই-কে তুমুল ভর্ৎসনা বিচারপতির!


যে চার জন ব্যক্তি টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তাঁদেরও সিবিআই গ্রেফতার করেনি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে হবে সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদকে। ৪ অক্টোবর দুপুর ২ টোর সময় হাজির থাকতে হবে সিবিআই অধিকর্তাকে। প্রায় একবছর কেটে গেলেও সিবিআই কার্যত কিছুই করেনি। মন্তব্য বিচারপতির।

উল্লেখ্য, প্রাথমিকের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মামলায় কেস ডায়েরি ও ডিজিটাইজড কপি তলব করেছিলেন বিচারপতি আগেই। প্রাথমিকের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট দেখার পর বলতে হচ্ছে সিবিআই তদন্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা ছাড়া বিকল্প কিছু বলার নেই।’’ তিনি আরও জানান, সিবিআই ‘ফেল’ করেছে সারা ভারতবর্ষ জানুক। এই মামলায় সিবিআইয়ের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। সাধারণ প্রশ্ন সিবিআই ঠিক মতো করেনি।

এরপর দুপুরে মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড কপি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। কোনও নথির ডিজিটাইজ়ড কপি বলতে কী বোঝায়, জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি খেদের সুরে বলেন, ডিজিটাইজড ওএমআর শিটের নাম করে পর্ষদ যেসব তথ্য দিচ্ছে, সেগুলি হাতে টাইপ করা। তার সঙ্গে আসল কপির কোনও মিল নেই। অথচ হাতে টাইপ করা ওই তথ্যকেই ডিজিটাইজড কপি বলা হচ্ছে!

কোনও নথির ডিজিটাইজ়ড কপি বলতে কী বোঝায়, জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে ডেকে পাঠানো হয় হাই কোর্টের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (তথ্যপ্রযুক্তি) কল্লোল চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে কোনও কপির ডিজিটাইজ়ড কপি বলতে বোঝায়, আসল নথি স্ক্যান করে তার প্রতিলিপি মোবাইলে বা সমাজমাধ্যমে দেখা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন।

যে সমস্ত প্রার্থীরা যোগ্য নয়, যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-হয়েও টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের জিজ্ঞসাবাদে সিবিআইয়ের গা-ছাড়া মনোভাব দেখে এদিন বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ আদালতের কাছে এদিন সিবিআই আধিকারিক ওয়াসিম আক্রম খান জানান, মাত্র 4 জন প্রার্থী জিজ্ঞাসাবাদে চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন । তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে । এরপরই বিচারপতি মন্তব্য করেন, “সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলছে । অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ভালো করে এই বিপুল দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করছে না ।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here