WB SIR 2025-পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে ধোঁয়াশা: নির্বাচন কমিশনের জবাবে কী ইঙ্গিত?

wb-sir-2025
wb-sir-2025

পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (WB SIR 2025) নিয়ে ধোঁয়াশা: নির্বাচন কমিশনের জবাবে কী ইঙ্গিত?

কলকাতা, আগস্ট ১৭: পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই রাজ্যের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিউ (SIR) কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোনো রাজ্যে কবে এসআইআর হবে, তা পরবর্তীকালে সঠিক সময়ে ঘোষণা করা হবে।” এই সংক্ষিপ্ত জবাবেই যেন অনেক ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে।


এখানে ক্লিক করুন পশ্চিমবঙ্গের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করার জন্য

Voter-list-2002-West-Bengal-PDF-download (2)
Voter-list-2002-West-Bengal-PDF-download (2)

এসআইআর কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিউ হলো নির্বাচন কমিশনের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধন ও যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভোটার তালিকার অসঙ্গতিগুলো দূর করা হয়। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ভোটার তালিকা অপরিহার্য, আর এসআইআর সেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।


নির্বাচন কমিশনের সংক্ষিপ্ত জবাবের তাৎপর্য

জ্ঞানেশ কুমারের এই মন্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁর ‘সঠিক সময়ে’ এই ঘোষণা করার কথা বলার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে এসআইআর শুরু করার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে:

১. রাজনৈতিক পরিস্থিতি: রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশন হয়তো সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে।

২. প্রশাসনিক প্রস্তুতি: পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক স্তরে এসআইআর শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, এমনও হতে পারে।

৩. অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচন: অন্যান্য রাজ্যেও নির্বাচন আসন্ন। সম্ভবত, কমিশন সব রাজ্যের জন্য একযোগে বা পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা করছে, তাই পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা করে কোনো তারিখ এখনই ঘোষণা করা হচ্ছে না।


ভবিষ্যৎ কী?

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই সংক্ষিপ্ত জবাব রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও সতর্ক করে দিয়েছে। তাদের এখন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটি স্পষ্ট, যে আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাজ্যবাসীর এখন একটাই প্রশ্ন, কবে সেই ‘সঠিক সময়’ আসবে এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নতুন করে গতি পাবে।

বিদেশিদের ভোটাধিকার নেই: নির্বাচন কমিশনের কড়া বার্তা

সম্প্রতি বিহারের ভোটার তালিকায় নেপালি এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম থাকা নিয়ে ওঠা বিতর্কের প্রেক্ষিতে এবার কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র এদেশের নাগরিকরাই ভোট দেওয়ার অধিকারী।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিহারের ভোটার তালিকায় কতজন নেপালি এবং কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, সংবিধান অনুসারে শুধুমাত্র ভারতের নাগরিকেরাই বিধায়ক এবং সাংসদ বাছতে পারেন। অন্যদের সেই অধিকার নেই।”

তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ চলবে। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে, যারা ভারতের নাগরিক নন, তাদের নাম যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কমিশন ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়ে তাদের দৃঢ় অবস্থানের কথা আবারও স্পষ্ট করে দিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here