This Post Contents
Wbssc 2nd slst court case -স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের কড়া অবস্থান নিল দেশের শীর্ষ আদালত। দীর্ঘদিন ধরেই এসএসসি-র স্বচ্ছতা ও নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কমিশনকে তিরস্কার করে জানিয়েছে, অযোগ্য প্রার্থীদের কোনওভাবেই নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না।
আদালতের তিরস্কার
শুনানির সময় বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,> “আপনারা কি এখনও অযোগ্য প্রার্থীদের ঢোকাতে চাইছেন? এটা সত্যিই লজ্জাজনক ও শকিং।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে কমিশনের কাজকর্মের প্রতি আদালতের অসন্তোষ স্পষ্ট হয়ে যায়। আদালত মনে করছে, কমিশন এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গাফিলতি করছে এবং তা শিক্ষাক্ষেত্রের স্বচ্ছতার পরিপন্থী।
কারা পরীক্ষায় বসতে পারবেন?
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী—
- 1. শুধুমাত্র গ্র্যাজুয়েশনে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত চাকরিরত শিক্ষকরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
- 2. যাঁদের এই যোগ্যতা নেই, তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
- 3. কমিশনকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, অযোগ্য কাউকে ঢোকানোর চেষ্টা করলে তা আদালতের অবমাননা হিসেবে গণ্য হতে পারে।
অতিরিক্ত সময়ের সুযোগ!
চাকরিরত শিক্ষকরা ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে অনেকেই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তাই আদালত কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ফর্ম পূরণের জন্য আরও ৭ দিনের অতিরিক্ত সময় দিতে হবে।
কমিশনের প্রতি নির্দেশ ও নোটিশ
আদালত কমিশনের কাছে নোটিশ জারি করেছে।কমিশনকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।যদি কমিশনের ব্যাখ্যা আদালতকে সন্তুষ্ট না করে, তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
রাজ্যের ভূমিকা
আদালত বলেছে, চাইলে রাজ্য সরকার নিয়োগ পরীক্ষা পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সেটি সম্পূর্ণ রাজ্যের বিবেচ্য বিষয়। আদালতের মূল জোর, স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার মানদণ্ডে কোনওরকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
রায়ের গুরুত্ব
এই রায় শুধু বর্তমান মামলার জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গাফিলতি আর বরদাস্ত করা হবে না।যোগ্য প্রার্থীরাই শুধুমাত্র নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন।কমিশনকে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে, নাহলে আবারও আদালতের কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে।