This Post Contents
WBSSC Blank OMR Sheets Scam: ফাঁকা ওএমআর শিট! ওএমআর শিট উদ্ধার! ০ থেকে বেড়ে ৫৩, ১ থেকে বেড়ে ৭০! নিজে থেকে চাকরি ছাড়ুন! চাকরি না ছারলে কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারেন না!
আজকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলো CBI(সিবিআই)। আজকে আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করলো সিবিআই। আর সেই রিপোর্ট থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল করা হয়েছে!
আজকে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসি সার্ভার রুমে তাঁরা ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছিল, তদন্তের সময়। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই দেখা গিয়েছে, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ০,১, বা ৩। সেখান থেকে নম্বর বেড়ে ৫৩ বা ৭০ হয়েছে!
হাইকোর্টে আজ একাধিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। যথা- গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএলএসটি একাদশ-দ্বাদশ এবং এসএসএসটি নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট। প্রতিটি রিপোর্টেই বিস্ফোরক তথ্য! এতদিন পর্যন্ত যে নম্বর অদল-বদলের অভিযোগ করা হচ্ছিল, এবার তথ্যপ্রমাণ দিয়ে একেবারে রিপোর্ট দিল সিবিআই।
এই নম্বর বৃদ্ধি শুধুমাত্র যারা চাকরি পেয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল না ,এই নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে ওয়েটিংদের ক্ষেত্রেও বলে খবর সামনে এসেছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু পরিসংখ্যাও সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে-
WBSSC Blank OMR Sheets Scam
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০৭ জন প্রার্থীর নম্বর বদলানো হয়েছে! |
নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে প্রায় ৯৫২ জনের নম্বর বদলানো হয়েছে। |
গ্রুপ সি-তে প্রায় ৩৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে! |
গ্রুপ ডি-তে প্রায় ২৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে! |
সিবিআই রিপোর্ট জানাচ্ছে, নবম-দশমে ৯৫২ জন, একদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জন, গ্রুপ-সি ৩৪৮১ জন এবং গ্রুপ-ডি পর্যায়ে ২৮২৩ জন ওএমআর জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ, মোট ৮,১৬৩ জন!
WBSSC Blank OMR Sheets Scam
উদ্ধার হয়েছে সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছু খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। তার পরও পরীক্ষার্থী নম্বর পেয়েছেন ৫৩ বা ৭০।
এরপরই প্রতারণার মাধ্য়মে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ বলেন,“আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না।
কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এই সকল প্রার্থীরা পদত্যাগ না করলে, পরবর্তীতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় না বসতে পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব। পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।পদত্যাগ করলে বুঝব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, নিজেরা কী করেছেন! নাহলে কড়া পদক্ষেপ।”
একই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, “এ বার মূলচক্রীকে সিবিআই খুঁজে বার করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী। দেশকে বাঁচাতে সিবিআই আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যে কোনও ভাবেই দেশকে বাঁচাতে হবে, সে জন্যই সিবিআই, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি আছে।“
এর সঙ্গে কোর্ট একটি নজির বিহীন সিধান্ত নিয়েছে, সেটা হল, আজকের কেসের অর্ডার কপি স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পাব্লিশ করতে হবে , যাতে করে সমস্ত এই রায় সম্পর্কে অবগত হন। এই রমক কোর্ট অর্ডার বাস্তবে খুব কমই দেখা যায়। সাধারণত কোর্টের সমস্ত অর্ডার কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাব্লিশ করা হয়ে থাকে! আজকে এই সিধান্তে অনেক জন চমকে গিয়েছে!
আজকের এই কেসের অর্ডার কপি ডাউন লোড করতে হলে – এখানে ক্লিক করুন (117 No Serial)। আরও নিয়োগ সম্পর্কে জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
পাশাপাশি আজই প্রাথমিকে আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেটে প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলায় আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই মামলায় ৩ দফায় ২৭২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।