This Post Contents
WBSSC 16000 Recruitment in 2022-ফের সুখবর শোনালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের জট কাটাতে এ বার আদালতের দ্বারস্থ স্কুল সার্ভিস কমিশনই WBSSC (এসএসসি)। কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দ্বিমুখী আবেদনে করেছে হলফনামা দিয়ে, হাইকোর্ট ‘অনুমতি’ দিলে রাজ্য সরকার আরও ‘অতিরিক্ত পদ’ তৈরি করে মেধা তালিকার অপেক্ষমান(Waiting List) সব প্রার্থীকে চাকরি দিতে প্রস্তুত।
শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা ,নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মী পদেও হবে বিপুল নিয়োগ। তার জন্য আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে শূন্যপদ সৃষ্টি করা হবে প্রায় আরও ৯৭৬৩টি । আদালতের অনুমতি মিললে ঐ ৯৭৬৩টি পদে চাকরি দিতে সর্বতোভাবে প্রস্তুত রাজ্য সরকার । এখন শুধু দরকার কলকাতা হাইকোর্টের ছাড়পত্র।
WBSSC 16000 Recruitment in 2022
কমিশন গতকালে জানিয়েছে যে তাঁরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দ্বিমুখী আবেদন (কি কি আবেদন করা হয়েছে তা নীচে দেওয়া হয়েছে) ইতিমধ্যেই করেছে, হাইকোর্ট ‘অনুমতি’ দিলে রাজ্য সরকার ‘অতিরিক্ত পদ’ (WBSSC 16000 Recruitment in 2022) তৈরি করে মেধা তালিকার অপেক্ষমান সব প্রার্থীকে চাকরি দিতে প্রস্তুত।
বিচারপতি যদি সেই আর্জি বিবেচনায় অপারগ হন, তা হলে ‘ব্যতিক্রমী’ যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে ‘বঞ্চিত’দের মেধাতালিকার ক্রমানুসারে নিয়োগ দিতেও এসএসসি প্রস্তুত । বলে গতকালকে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন তাঁরা আদালতের রায় মেনে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

রাজ্যে কারও চাকরি চলে যাক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা চান না। প্রয়োজনে তিনি অতিরিক্ত পদ তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তাঁর সংযোজন, এই কারণে ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভা অতিরিক্ত ৬৮৬১টি পদ তৈরি করেছে। প্রয়োজনে আরও সুপার নিউমারারি পদ তৈরিতে প্রস্তুত রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে আদালতে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)।
আদালত রাজি থাকলে (WBSSC 16000 Recruitment in 2022) যে কোনও শর্তে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় সরকার। প্রয়োজনে এসএসসি’র ওয়েটিং লিস্টের সমস্ত প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার আদালতে এই মর্মে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। তারপর বিকাশভবনে শিক্ষাসচিব, এসএসসি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শীর্ষকর্তাদের পাশে নিয়ে এই ঘোষণা করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন- ‘‘ভুলক্রমে মেধাতালিকার ক্রম ভেঙে সুপারিশের কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য ‘সুপার নিউমেরারি’ পদ তৈরি করে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভায়। সেই অনুযায়ী এসএসসি হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছে ইতিমধ্যেই, যাতে মহামান্য আদালত নির্দেশ দিলে রাজ্য সরকারের তৈরি সুপার নিউমেরারি তালিকা মেনে সকলকে চাকরি দিতে প্রস্তুত এসএসসি।’’
WB Primary TET 2022 Vacancy- নতুন টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা, ১১০০০ শূন্যপদ কাঁদের, কিভাবে আবেদন?– এখানে ক্লিক করুন।
যে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেই গুলো কি কি ?
- ১) আদালত যদি অবৈধভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করতে চায়, সে পথে হাঁটতে রাজ্য তৈরি। সেক্ষেত্রে তৈরি হওয়া শূন্যপদ ওয়েটিং লিস্ট থেকে র্যাঙ্কের ক্রমানুসারে প্রার্থী নিয়ে পূরণ করা হবে। বাকি খালি আসনের জন্য চলবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া।
- ২)আবার, আদালত চাইলে ওয়েটিং লিস্টের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক প্রার্থীকেও চাকরি দিতে রাজি সরকার। সেই জন্য ইতিমধ্যে সব মিলেয়ে প্রায় ৬ হাজার ৮৬১টি বাড়তি শূন্যপদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে এর বাইরে এসএসসি’র ওয়েটিং লিস্টে থাকা সমস্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে আরও আরও ৯,৭১৬ অতিরিক্ত পদ তৈরি করতে হবে সরকারকে। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, সেটাও সমস্যা হবে না।
এবার একনজের দেখে নেওয়া যাক কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে এবং আরও কত শূন্য পদ তৈরি করতে হবে-
কোন স্তরে | পদ তৈরি করা হয়েছে | পদ তৈরি করা হবে* |
নবম – দশম শ্রেণিতে | ১৯৩২ | ১০৭৭ |
একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে | ২৪৭ | ২৩২১ |
গ্রুপ সি | ১১০২ | ১৯৮১ |
গ্রুপ ডি | ১৯৮০ | ৮৩৩৭ |
কর্ম ও শারীর শিক্ষা | ১৬০০ | —– |
পদ তৈরি হয়েছে টোটাল- | ৬৮৬১ | আরও অতিরিক্ত পদ তৈরি হবে টোটাল- ৯৭১৬(কোর্ট অর্ডারের সাপেক্ষে) |
WBSSC 16000 Recruitment in 2022
শিক্ষামন্ত্রী জানান, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেবে, তা মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এসএসসি (WBSSC Waiting Candidates Recruitment ) নিজে থেকেই শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট দিয়েছে এমন ২২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাঁরা ‘ব্যতিক্রমী ভাবে’ চাকরি পেয়েছেন।
তার মধ্যে ১৮৩ জন নবম-দশম শ্রেণির। বাকি ৩৯ জন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির। আবারও গ্রুপ সি-এবং গ্রুপ ডি’র ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থী সংখ্যা হল প্রায় ৯৫৭ টি। এসএসসি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আরও খতিয়ে দেখছে। এঁদের চাকরি থাকা, না-থাকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবটাই নির্ভর করছে আদালতের রায়ের উপরে।’