উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যা কিছুতেই মিটছে না। একদিকে এক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে অপর দিকে তখন অন্য সমস্যা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কোর্টের নির্দেশ মত স্কুল সার্ভিস কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। এবং তখন থেকে অনেক নতুন অনিয়ম নিয়ে ssc অফিসে অভিযোগের দরখাস্ত জমা পড়ছে।
বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থী মহল বার বার দাবি তুলছে যে প্রশিনক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণহীন দের কে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।যদিও বার বার স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বার বার এই দাবি কে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, তিন ধাপে স্ক্রিনিং হয়েছে। তাই প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবু যদি এই এরকম কোনও প্রার্থীর হদিশ দিতে পারেন, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীকে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই অভিযোগও ভিত্তিহীন। কারণ, প্রশিক্ষণ না থাকলে তিনি চাকরি পাওয়ার যোগ্যই নন। কমিশনের চেয়ারম্যান এর মত অনুসারে অভিযোগ মানেই সেটা সত্যি নয়। কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “অভিযোগ জমা দিতে বলুন । আমরা নিশ্চয়ই তার রসিদ দেব । আমরা যাচাই করে উত্তর দেব । আমরা প্রত্যেকটা অভিযোগ বিচার-বিবেচনা করব । তার ভিত্তিতে আমরা কী পদক্ষেপ করলাম তা নিশ্চয়ই জানাব ।”
অপর দিকে গতকাল অভিযোগ জমা করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা । গতকাল প্রথম দিকে কিছু সমস্যা দেখা যায় অভিযোগ জমা না নেওয়া কে কেন্দ্র করে পরে অবশ্য আবার অভিযোগ জমা নেওয়া শুরু হয় বলে জানা যায়। একটি সূত্র মারফত খবর জানা গিয়েছে যে এখনও অব্দি প্রায় 200 ওর বেশি অভিযোগ জমা পরেছে।25 অক্টোবর আসতে আসতে এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
SSC চেয়ারম্যান এর বক্তব্য যে,সমস্ত অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখা হবে। কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কোনও প্রার্থী যদি কোনও তথ্য গোপন করে এবং পরে সেই তথ্য যদি সামনে আসে , তাহলে তথ্য গোপনের পরিণাম হিসাবে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রথমে সমস্ত অভিযোগ জমা নেওয়া হবে 25 অক্টোবর পর্যন্ত। এর পর এক একটা অভিযোগ দেখা হবে তারপর নভেম্বরে প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে কোর্টে এই মামলা টি আবার উঠবে। এর পর কোর্টের নির্দেশ মত অপার প্ৰাইমারী তে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।