স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ,র্যাঙ্ক নিয়ে বিভ্রাট
কেউ ছিলেন মেধা-তালিকার উপরের নম্বরে। কয়েক দিন পরে হঠাৎ তিনি দেখলেন, যে ধাপ তিনেক পিছিয়ে দিয়ে তাঁকে নীচের দিকের নম্বরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। যাঁর নাম ছিল 103 নম্বরে, একই ভাবে তাঁর অবনমন ঘটেছে 106 নম্বরে।
এই র্যাঙ্ক-বিভ্রাট কেন প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে প্রথমে যা তাঁদের র্যাঙ্ক ছিল পরে তা তিন চার ধাপ পিছনে চলে গিয়েছে আবার জনা তিনেক প্রার্থীর নাম চলে এসেছে তালিকার উপরের দিকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা চিন্তিত এবং তাঁরা ssc- র কাজকর্ম নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলছেন ।
এই র্যাঙ্ক-বিভ্রাট ঘটেছে নবম ও দশম শ্রেণির ইতিহাসের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের মেধা-তালিকায়।
ssc যে 2016 সালে পরীক্ষা নিয়েছিল ,সেই লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পরে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে ধাপে ধাপে তাঁরা এখন চতুর্থ কাউন্সেলিং পর্যন্ত পৌঁছেছেন।
অপর দিকে 2019 লোকসভা ভোটের পরে মনে করা হিচ্ছে যে নবম-দশম শ্রেণীর চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং শুরু হতে পারে ।
অপর দিকে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে-ক’জন প্রার্থীর নাম মেধা-তালিকায় উপরে আনা হয়েছে, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে তাঁদের র্যাঙ্ক রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন।
রিভিউয়ে দেখা যায়, ওই প্রার্থীদের র্যাঙ্ক উপরের দিকে উঠে এসেছে, বলেন ssc চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে , পরীক্ষার আগে প্রকাশিত গেজেটে নোটিফিকেশন বলা হয়েছিল যে, লিখিত উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন করা যাবে না।
কিন্তু ssc চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে যদি কোর্টের নির্দেশ থাকে উত্তরপত্র রিভিউ করার সেক্ষেত্রে তাঁদের আর কিছু করার থাকেনা।
কিছু অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন যে,এই র্যাঙ্ক-বিভ্রাট অতি সহজেই আটকানো যেত যদি আদালতের নির্দেশে যে-সব প্রার্থীর র্যাঙ্ক উপরে চলে গেল, তাঁদের জন্য বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা যেত। তা হলে অন্য প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব পড়তো না।
এখন চতুর্থ কাউন্সেলিং নিয়ে আসার আলো দেখছেন অনেক হবু শিক্ষক, তাঁদের মাঝে আছে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা । কবে হবে এই চতুর্থ কাউন্সেলিং ?
বিভিন্ন খবর থেকে যেটা জানা যাচ্ছে যে প্রথমে একাদশ-দ্বাদশ শ্ৰেণীর চতুর্থ কাউন্সেলিং হবে তার পর নবম-দশম শ্রেণীর চতুর্থ কাউন্সেলিং হবে । তার পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপার প্রাইমারি তৃতীয় ফেজ ভেরিফিকেশন হবে ।