EVP অর্থাৎ ইলেক্টরল ভোটার ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেয়। মানুষ খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ও পরিবারের ভোটার ভেরিফিকেশন করাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন আর আগের মতন ঠিক ঠাক কাজ করছে না NVSP ওয়েবসাইট।ফলে সাধারণ মানুষের চিন্তা দ্বিগুন বেড়ে যাচ্ছে।
গত কাল কলকাতায় আসেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন,EVP প্রোগ্রাম টি দেখতে।
তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, EVP বাধ্যতামূলক নয় এবং তিনি এও জানান যে ,এর সঙ্গে NRC বা নাগরিক পঞ্জির কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে এখন সাধারণ মানুষের কাছে NVSP নিয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস।
আপনারা জানেন যে,গত 1 সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই বা ইলেক্টরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম বা EVP চালু করেছিল কমিশন । এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ভোটাররা নিজেদের তথ্য যাচাই করতে পারেন ,NVSP এর ওয়েবসাইটে গিয়ে। যখন তথ্য যাচাইয়ের সময় নিজেকে আগে বা ফ্যামিলি যিনি হেড আছেন তাকে দিয়ে আগে রেজিস্টার করতে হত এই ওয়েবসাইটের। তার পর বিভিন্ন নথি অনলাইনে দাখিল করতে হয় ভোটারকে । কিন্তু বেশ কিছুদিন ভালো ভাবে কাজ করার পর ইদানীং NVSP সাইট ঠিক ঠাক কাজ করছে না। কিছু মানুষ তথ্য যাচাইয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার সময় সমস্যায় পড়ছেন । অভিযোগ উঠছে, বারবার চেষ্টা করেও আসছে না OTP । আবার কিছু ক্ষেত্রে OTP এলেও সেটি কাজ করছে না । আবার অন্য দিকে যদি ভোটারের কিছু তথ্য ভুল থাকলে সেটা সংশোধনের পর রেফারেন্স নাম্বার মোবাইলে আসছে কিন্তু NVSP এর সাইটে সেটা NOT SUBMITED দেখাচ্ছে ফলে সাধারণ মানুষের চিন্তার শেষ নেই আবার এর মাঝে কিছু ভোটার NRC-র ভয়ে খাওয়াদাওয়া ভুলে ইতিমধ্যে সাইবার ক্যাফেতে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ।
গতকাল যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন জানিয়েছেন সেগুলো হল:-
1) NRC এর সঙ্গে EVP বা NVSP এর কোনও সম্পর্ক নেয়।
2) EVP বাধ্যতামূলক নয়।
3) EVP নিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেয়।
সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে আতঙ্ক দূর করতে কিছু দিন আগেই এই EVP প্রোগ্রাম এর সময় সীমা বাড়িয়েছেন । যেটা শেষ হচ্ছিল 15 অক্টোবর সেটা বাড়িয়ে 18 নভেম্বর করা হয়েছে দিল্লি বাদে। এবং তাঁর সঙ্গে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা জানিয়েছে NVSP প্রোগ্রাম নিয়ে। BLO দের কাজ নিয়েও রূপরেখা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ঐ নোটিশে।
ঐ নোটিশটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
BLO রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কি ভাবে এই কাজ করবে তা জানানো হয়েছে সঙ্গে যারা EVP তে গিয়ে ভোটার ভেরিফিকেশন করিয়েছেন তাঁদের কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেটাও আলোচনা করা হয়েছে ওই নোটিশে। বিশদে নতুন নোটিশ দেখতে এবং চারটি নতুন ফর্ম BLO দের জন্য কি কি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
তবে তথ্য যাচাই করে নিলে আখেরে ভোটারদেরই সুবিধা হবে বলে মন্তব্য করেন উপ নির্বাচন কমিশনার।কেমন এই সুবিধা ?? ভোটার তালিকায় অনেক ভোটারেরই নামের উল্টোপাল্টা বানান আছে। ঠিকানার ভুলভ্রান্তি-সহ নানা ধরনের অসঙ্গতি আছে।নিজের তথ্য নিজে যাচাইয়ের কর্মসূচিতে মাধমে ভোটারেরাই সেই সব ভুলভ্রান্তি-অসঙ্গতি নিজেই ঠিক ঠাক করে নিতে পারবেন । ফলে ভুল হবার সুযোগ অনেকটা কমে যাবে।