প্রাথমিকের সংগঠক শিক্ষকদের চাকরির প্রক্রিয়ায় কেন এত দেরি হচ্ছে, রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

3
288

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে সংগঠক শিক্ষকদের চাকরির প্রক্রিয়ায় জন্য সুপ্রিম কোর্ট আগেই রায় ঘোষণার করেছিল তাতে এত দেরি কেন সেই বিষয় কারণ জানতে চেয়ে রাজ্যেকে নোটিশ পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট।

screenshot 20190724 0734138783388145513387567

এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজ এগয়নি বলে অভিযোগ করে আদালত অবমাননার মামলা করে সংগঠক শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল নব পর্যায় প্রাইমারি অরগানাইজার্স টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।

তারই শুনানিতে রাজ্য সরকারের নোটিশ দেওয়া হয়েছে এর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দ্রুত তাদের অবস্থান জানাতে বলেছেন বিচারপতি মোহন এম সান্তনাগৌধর এবং বিচারপতি সঞ্জীব খানার ডিভিশন বেঞ্চ।

সংগঠক শিক্ষক বলে নিজেদের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে যারা মামলা করেছে, তাদের মধ্যে কারা যোগ্য তাদের স্ক্রুটিনি করে প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা আগেই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

কারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সেটা দেখতে প্রথমে একটি ভেরিফিকেশন কমিটি গঠনের ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট এবং সেই কমিটিতে রাখা হয় শিক্ষা সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে। কিন্তু কাজের কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় এই কমিটির পরিবর্তে নতুন করে ‘পশ্চিমবঙ্গ লিগাল এইড অথরিটি’কে স্ক্রুটিনি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তারা স্ক্রুটিনি করে পর্ষদকে রিপোর্ট দেওয়ার পরেও কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলেই আবেদনকারীদের অভিযোগ।

উল্লেখ্য, পাঠশালা প্রথা উঠে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পান সংগঠন শিক্ষক হিসেবে কিন্তু অনেকেই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। কারণ তাদের শিক্ষক নিয়োগের যে মাপকাঠি তা নিয়ে, যেমন তাঁদের বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠে এবং স্পষ্ট ধারণা না থাকায়।এর ফলে ঐ সব চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এখন দেখার বিষয় এই সমস্যার কবে সমাধান হয় কারণ প্রাথমিক স্কুলে সংগঠন নিয়ে এই মামলা দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে রয়েছে ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স দিনদিন বাড়ছে ফলে একটা জটিল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here