This Post Contents
Primary Teachers Recruitment in 11765 post: প্রায় ১১৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুপ্রিম ছাড়! কোলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর স্টে দিল শীর্ষ আদালত!কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর কোনও সমস্যা থাকল না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ চাকরি পদপ্রার্থীরা। ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় ফাঁকা পড়ে থাকা ৩,৯২৯টি পদে নিয়োগ কী ভাবে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কোলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল এবং ডিভিশন বেঞ্চ। আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আর্জি মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারটি এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন,এই অর্ডারটি সিরিয়াল নম্বর ১৯০ এ দেওয়া আছে!
২০২০ সালে প্রায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু (Primary Teachers Recruitment in 11765 post) করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! এর মধ্যে সাড়ে প্রায় ১২ হাজার শূন্য পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এরপরও খালি থাকে ৩,৯২৯ টি শূন্য পদ! কেন এই পদগুলিতে নিয়োগ হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে দ্রুত নিয়োগের আবেদন করে কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করা কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। হাইকোর্ট ঐ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়! কোলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে । অর্থাৎ ঐ পরে থাকা ৩৯২৯ টি শূন্য পদের অধিকার কেবল ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের প্রার্থীদের!
আরও পড়ুন- Stay on Primary 32000 Court Job Cancellation Case: ৩২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ!
Primary Teachers Recruitment in 11765 post
ফলে ১১,৭৬৫টি শূন্যপদের মধ্যে প্রায় ৩,৯২৯টি শূন্য পদে নিয়োগের (Primary Teachers Recruitment in 11765 post)ক্ষেত্রে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের জন্য সংরক্ষিত রেখে বাকি ৭,৭৩৮ পদে অন্য বছরে টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আসে পর্ষদ।
সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে এখন ১১,৭৬৫টি পদেই নিয়োগে আর বাধা রইল না। ২০১৭-র টেট-উত্তীর্ণদের সঙ্গে ২০১৪-য় টেট-উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন। ২০২০ সালে প্রাথমিক প্রায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও ৩,৯২৯টি পদ খালি পড়েছিল। অপেক্ষমান তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন।
শুক্রবার দিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল! পর্ষদের তরফে এদিন বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে ২০২২ সালের নিয়োগে সমস্যা হচ্ছে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানি। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১১,৭৬৫টি পদের (Primary Teachers Recruitment in 11765 post) পুরোটা নিয়োগে সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশ। কারণ কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪-এর ক্ষেত্রে খালি থাকা পদ ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল না। অথচ পর্ষদ ঐ প্রায় ১১,৭৬৫টি সম্পূর্ণ শূন্য পদে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট পাস দের নিয়োগ করতে চাই। এই বক্তব্য শুনেই হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
অর্থাৎ, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ ছাড়াও বাকি যোগ্য (২০১৭ টেট পাস ) প্রার্থীরাও ঐ ৩৯২৯ টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে! অর্থাৎ ঐ ঘোষিত প্রায় ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে টেট উত্তীর্ণ ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের ক্যান্ডিডেটদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাঁধা রইলো না!
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত বছর সেপ্টেম্বরে ঐ ৩৯২৯টি শূন্যপদ পূরণের নির্দেশদেন! মাননীয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় RTI মামলা থেকে ২০১৪ সালের ২৫২ জন টেট উত্তীর্ণকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরে গত নভেম্বরে কোলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ কে খারিজ করে দেয়! ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে -সরাসরি নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে ঐ পরে থাকা প্রায় 3929 টি শূন্যপদে।
২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরির আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে (Primary Teachers Recruitment in 11765 post) মেধার ভিত্তিতে এই পদগুলিতে নিয়োগ করতে হবে। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত ও কুণাল চট্টোপাধ্যায় আজ যুক্তি দেন, ২০১৭ সালে টেট-এর পরে ২০২২-এ যে নিয়োগ শুরু হয়েছে, তাতে মোট প্রায় ১১,৭৬৫ টি শূন্য পদ খালি থাকলেও, ৩,৯২৯টি পদ বাদ দিয়ে নিয়োগ করতে হচ্ছিল।
আর্জি শুনে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ হাই কোর্টের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এ বিষয়ে ৫ জুলাই বিস্তারিত শুনানি হবে। পর্ষদের আইনজীবীদের মতে, এখন ১১,৭৬৫ টি শূন্য পদেই নিয়োগে বাধা থাকল না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ ৫ই জুলায় কি হয় সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীরা!
এই দিকে ঐ ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়গের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইন্টারভিউ নিচ্ছে! প্রাথমিক পর্ষদ ১৬ তম ইন্টারভিউ ফেজের নোটিশ ও প্রকাশিত করে দিয়েছে, যাঁদের এই মাসেই ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে। সেই সমস্ত লিস্ট দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন!
FAQs
১১৭৬৫ টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক পর্ষদ কি পদক্ষেপ শুরু করেছে?
হ্যাঁ! ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক পর্ষদ কি পদক্ষেপ শুরু করেছে! এখন এই পোস্ট লিখতে লিখতে যে নতুন আপডেট পাওয়া গিয়েছে সেখানে জানা যাচ্ছে যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ঐ ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়গের জন্য 16th Phase এর নোটিশ ও জারি করে দিয়েছে!
১১৭৬৫ টি শূন্য পদ 16th Phase এর ইন্টারভিউ কবে হবে?
১১৭৬৫ টি শূন্য পদ 16th Phase এর ইন্টারভিউ ২৬/০৫/২০২৩ এ হবে!
ঐ ১১৭৬৫ টি শূন্য পদ 16th Phase এর ইন্টারভিউের জন্য কারা কারা যোগ্য?
জানা গিয়েছে ১১৭৬৫ টি শূন্য পদ 16th Phase এর ইন্টারভিউ -এর জন্য সংরক্ষিত ২০১৪ টেট (৮২ নম্বর পেয়ে) পাস এবং বিএড ইন স্পেশাল এডুকেশন কোর্স যারা করেছেন তাঁদের কে ডাকা হয়েছে!
এখন ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে কি ২০২২ টেট পাসরা আবেদন করতে পারবে?
না! এই ১১৭৬৫ টি শূন্য পদ কেবল ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট পাস ট্রেন্ড ক্যান্ডিডেটদের জন্য রাখা হয়েছে!
১১৭৬৫ টি শূন্য পদ কবে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে?
এই বছরের শেষেদিকের ঐ ১১,৭৬৫ টি শিক্ষক স্কুলে যোগদান করতে পারবে, খুব সম্ভবত!
আমার পেট পাশ ২০১৪ কিন্তু ঠিক এল এবং ২০-২২ তাহলে কি আমি বাক পেতে পারি।
আমার টেট পাশ ২০১৪ কিন্তু D.El.Ed. ২০-২২ তাহলে কি আমি ডাক পেতে পারি।