প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে অনিশ্চয়তা,ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

court_case
court_case

দীর্ঘ দিন ধরে টেট পরীক্ষা না হওয়ার প্রধান কারণ হল মামলা। এবং এই কথা শিক্ষামন্ত্রীর মূখ থেকেও একাধিক বার শোনা গিয়েছে। এবং সেই মামলার মারপ্যাঁচে পড়তে চলেছে প্রাথমিককে শিক্ষক নিয়োগ বলে জানা যাচ্ছে। লাস্ট যে দুটি টেট পরীক্ষা হয়েছিলো একটা ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে। ২০১৪ সালে প্রাইমারী টেট পাস করে প্রায় ১৮০০০ জন চাকরীপ্রার্থী এবং ২০১৫ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিলো সেখানে পাশকরে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার চাকুরী প্রার্থী। এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান এর মতে ২০১৫ সালের টেট থেকে প্রায় ৪০০০০ জনকে এর মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এখন যেটা জানা যাচ্ছে যে টেট চাকরীপ্রার্থীরা আগেই কলকাতা হাইকোর্টে  সার্টিফিকেটের দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় গত ৮ই অগস্ট মাননীয়া জাজ সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন যে পর্ষদকে দু’মাসের মধ্যে টেট পাশ প্রার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সাথে সাথে সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৈধ্যতা দু’বছর ধার্য করেন।কিন্তু দীর্ঘ চার মাস অতিক্রান্ত হলেও সেই সার্টিফিকেট না পেয়ে আবার চাকরীপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননা  (Contempt of court) মামলা দায়ের করেছেন।

 আরও কিছু তথ্য জানা যাচ্ছে যে সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে ছিল যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে সমস্ত মামলা আছে তা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ একসাথে শুনানি করতে হবে। এবং পর্ষদকে নির্দিষ্ট ভাবে তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে।

 

এবং জানা যাচ্ছে সেই মত ডিভিশন বেঞ্চে একত্রিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে । ফলে টেট পরীক্ষা নিয়ে বা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে ঘিরে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে অনেক রাজনৈতিক মহল এবং ওয়াকিবহল দের মত অনুসারে এই সমস্ত মামলা না মিটলে নতুন ভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না  ফলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে বলে মনে করছেন ।

আবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হোক এই দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন চাকরীপ্রার্থীরা । সেই মামলাও চলছে। চাকরীপ্রার্থীরা ১৯ তারিখে অনশন এবং আন্দোলনের ডাক দিয়েছে নতুন টেট পরীক্ষার দাবিতে।

এখন আমরা মামলা এবং আন্দোলন উভয় দিকে নজর থাকবে যে নতুন পরীক্ষা বা নিয়োগ নিয়ে কোনও আপডেট বেড়িয়ে আসে কিনা।