গৃহশিক্ষকেরা স্বীকৃতি দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ , বেকার ছেলে মেয়েদের কথা ভেবে এবার কি মিলবে স্বীকৃতি ?

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরে রাজ্যের গৃহশিক্ষকেরাও এ বার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।বুধবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী গৃহশিক্ষকদের পাঁচ প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।

শিক্ষার অধিকার আইন-২০০৯ ও স্কুলশিক্ষা দপ্তর কর্তৃক কলকাতা গেজেট ২০১৮ সালে প্রকাশিত সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিষিদ্ধ। অথচ স্কুলে-স্কুলে শিক্ষকদের একাংশ সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই প্রাইভেট টিউশনে মত্ত । উল্টে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে না-পড়লে নম্বর দেওয়া হবে না বলে ভয়ের আবহ তৈরি করে পড়ুয়াদের উপরে মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ যে ক্লাসে পড়াশুনা এখন গৌণ । মুখ্য হয়ে পরেছে  প্রাইভেট টিউশন। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তাঁদের মতে প্রায় অনেক শিক্ষক এখনও সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রাইভেট টিউশন করেই যাচ্ছেন।

গৃহশিক্ষকদের বক্তব্য, তাঁরাও সমাজ গড়ার কারিগর অথচ তাঁদের পেশার কোনও সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তাঁদের সামাজিক স্বীকৃতি এবং কিছু সরকারি সুযোগ সুবিধা দিলে বেকারত্বের হার কমবে । তাই এবার এই সামাজিক স্বীকৃতি দাবিতে তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।এই বিষয় নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।