টেট নিয়ে কি জট কাটবে আদালতে? লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য কি খুলবে ?
এই রকমই হাজারো প্রশ্ন মনে জাগছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট৷ রাজ্যব্যাপী টেট পরীক্ষা হয়েছিল৷ শিক্ষক নিয়োগের জন্য আপার প্রাইমারি অর্থাৎ ,পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণির বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার আশায় কয়েক লক্ষ শিক্ষিত বেকার এই পরীক্ষায় বসে ছিলেন৷ মূলত প্রশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণহীন উভয় চাকরিপ্রার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যেহেতু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী দের সংখ্যা যথেষ্ট তাই তাঁদের কে দিয়ে অপার প্ৰাইমারী শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ পূরণ করা হোক।
কিন্তু, ছন্দ পতন ঘটল প্রশিক্ষত প্রার্থীদের না ডেকে অশিক্ষিত প্রার্থীদের স্কুল সার্ভিস কমিশন ডাকে যখন৷ এই নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার অবশেষে ফয়সলা করতে চলেছে কলকতা হাইকোর্ট৷
ইতিমধ্যে এই টেট পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা।সেই মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টে বিচারপতির মৌসুমী ভট্টাচার্জের এজলাসে।
আবার হাইকোর্ট মামলাকারীদের নথি ভেরিফিকেশন জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মত স্কুল সার্ভিস কমিশন নোটিশ জারি করেছে ।
মামলাকারীরা যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে কোর্টে মামলা করেছিল তা হল- শূন্য পদ প্রকাশ করা,মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা,একাডেমিক রেজাল্ট ও টেট পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর নম্বর pdf আকারে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ইত্যাদি।
গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলায় এসএসসি কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে৷ মূলত, শূন্যপদ কত, প্রশিক্ষিত ও অশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে একাডেমিক রেজাল্ট, প্রাপ্ত নম্বর জানাতে বলা হয়েছে৷ এবং যেটা জানাযাচ্ছে এই মামলা নিয়ে আগামী ৯ আগস্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি৷ তাই আগামী ৯ আগস্ট টেট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে আছেন৷
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে পরে থাকা সমস্ত নিয়োগ সম্পন্ন করে নতুন টেট নেওয়া হবে এই বছরে এবং তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে খুব শ্রীঘ্রই।
Thanks I am a mother and very busy! This helped me alot!