This Post Contents
WB Primary 2014 court case– এইমুহূর্তে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সিঙ্গেল বেঞ্চে যেমন চলছে তেমনি চলছে ডিভিশন বেঞ্চেও। প্রত্যেকদিনই প্রায়ই এই সমস্ত মামলা থেকে কিছু না কিছু তথ্য বেরিয়ে আসছে । গতকালকে ডিভিশন বেঞ্চে,প্রাথমিকের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলার শুনানি ছিল ।
সেই {WB Primary 2014 court case}মামলার শুনানিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপডেট সামনে এসেছে । কেন বেছে বেছে চাকরিপ্রার্থীদের নাম্বার দেওয়া হয়েছে? যেমন প্রশ্ন করা হয়েছে, ঠিক তেমনি প্রশ্ন করা হয়েছে 42000 নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রাথমিক টেটের কেস নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন/বিস্তারিত তথ্য এই প্রতিবেদন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হচ্ছে ।
WB Primary 2014 court case
আপনারা জানেন, 2014 সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়! এর মতে টেটের পরীক্ষা হয় 2015 সালে 11ই অক্টোবর ! প্রায় 23 লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার জন্য আবেদন জানায় বলে নিউজে উঠে আসে এর মধ্যে ২০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল বলে জানা যায়! টেটের ফল প্রকাশ হয় 2016 সালের সেপ্টেম্বর মাসে ! সেখানে কমবেশি প্রায় 1 লক্ষ 30 হাজার চাকরিপ্রার্থী পাস করেছিল বলে জানা গিয়েছিল !
সেখান থেকে 2017 সালে প্রথম নিয়োগ শুরু হয়, এরপর 2017 সালের ৪ঠা ডিসেম্বর দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ এবং সেই মেধাতালিকা নিয়ে মামলা কোর্ট বলে খবর সামনে আসে !বিভিন্ন নিউজ পেপার থেকে সংগ্রহ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে 2014 টেট থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় 60,000{42,000+16,500} প্রার্থীকে শিক্ষক রূপে নিয়োগ করা হয়েছে!
![WB_Primary_2014_court_case](https://www.wbedu.in/wp-content/uploads/2021/02/2009_primary_panel_list.jpg)
গতকালকে প্রাথমিকে যে মামলা{WB Primary 2014 court case} ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে একাধিক প্রশ্ন করেছে । তার মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন হল যে, শুধুমাত্র বেছে বেছে কেন 269 জন চাকরিপ্রার্থীকে নাম্বার বাড়ানো হয়েছে ? পর্ষদ কেন এই নিয়ে কোনো নোটিশ জারি করেনি ? বিভিন্ন খবরা-খবর থেকে জানা যাচ্ছে এই অবস্থায় এখনো পর্যন্ত নিযুক্ত 42 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে উচ্চ আদালত! ডিভিশন বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা কোন প্রশ্ন ভুল থাকলে তার জন্য তো সব প্রার্থীর নাম্বার পাওয়া উচিত! বেছে বেছে কিছু প্রার্থীদের নাম্বার কেন বাড়ানো হয়েছে!
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কোলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে প্রথমে মামলা দায়ের হয়েছে! সেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্ছ। এই মামলা কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে পর্ষদ।সেই মামলার শুনানিতে একাধিক প্রশ্নবানে বিধ্বস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলে খবরে উঠে এসেছে। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে !
![KOLKATA-HIGH-COURT](https://www.wbedu.in/wp-content/uploads/2019/08/KOLKATA-HIGH-COURT.jpg)
এদিন মামলা শুরু থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করতে শুরু করে আইনজীবীরা !এই সমস্ত প্রশ্নের কার্যত কোনো জবাবই ছিলনা পর্ষদের কাছে বলে জানা যায় !
এই 42000 চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে কেন শুধুমাত্র 269 জন কেরি নাম্বার দেওয়া হলো এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্ট । সেক্ষেত্রে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ তাহলেতো 42 হাজার জনের নিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়বে!
2014 টেটের একটি প্রশ্ন ভুল ছিল এই যুক্তি দেখিয়ে 2017 সালে কিছু প্রার্থী নম্বর বাড়ানো হয়। তাদের মধ্য থেকে 269 জনকে নিয়োগ করা হয় । পরে এই সংখ্যাটা সিঙ্গেল বেঞ্চে জানানো হয় ২৬৯ নয়, ২৭৩ জন কে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ঐ ২৭৩ জন টেট পাস করতে পারিনি! কিন্তু প্রশ্ন ভুল থাকায় তাদেরকে এক নাম্বার করে দেওয়া হয় । এই এক নাম্বার পাওয়ার ফলে তাঁরা টেট পরীক্ষায় পাস করে!
![icds_supervisor_result_2021_West_Bengal](https://www.wbedu.in/wp-content/uploads/2020/02/BREAKING-NEWS-.jpg)
কোর্ট বার বার প্রশ্ন করে কিসের ভিত্তিতে ঐ সমস্ত প্রার্থীকে এক নাম্বার করে বাড়ানো হল! প্রশ্ন ভুল থাকলে তো সব প্রার্থীই নাম্বার পাওয়ার যোগ্য। এই নম্বর দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল কিনা তাও জানতে চেয়েছে কোর্ট, গতকালকে শুনানির সময়।
এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবে পর্ষদ জানিয়েছে যে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আইন মেনে নাম্বার দেয়া হয়েছে।
WB Primary 2014 court case
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি উঠেছিল। |
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ যে প্রশ্ন ভুলের জন্য যদি এক নাম্বার দেওয়া হয় তাহলেতো এই নাম্বার পাওয়ার ক্ষেত্রে সবাই যোগ্য! |
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ যে প্রশ্ন ভুলের জন্য যদি এক নাম্বার করে দেয়া হয় তাহলে ওই পরীক্ষায় যারা ফেল করেছে তারাও যেমন এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য ঠিক তেমনি ভাবে যারা পাস করেছে তারাও এক নম্বর পাওয়ার অধিকারী। |
সেক্ষেত্রে সবারই নাম্বার বাড়ানো উচিত বলে কোর্টের পর্যবেক্ষণ! |
সবার এক নাম্বার বাড়লে তো পুরো মেরিট লিস্ট এই পরিবর্তন আসবে ! |
এর ফলে ২০১৪ সালের সমস্ত নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে! |
ইতিমধ্যে সিঙ্গেল বেঞ্চ 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে ।এর সঙ্গে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন । পর্ষদের পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ আপিল করাও হয়েছে।সিঙ্গেল বেঞ্চে পর্ষদ জানায় যে 269 জন্য নয় , 273 জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল এক নাম্বার বাড়ানোর ফলে , দ্বিতীয় প্যানেল থেকে।
পর্ষদ কোর্টে জনিয়েছিল টেট ফেল করা ২৭৮৭ জন প্রার্থী একটি প্রশ্ন ভুল থাকার জন্য নাম্বার বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল! তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৭৩ চাকরিপ্রার্থীদের বেছে নেওয়া হয়েছিল!
যদি আপনারা ২৬৯ জনের নামের লিস্ট দেখতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন- “Primary tet 2014 high court order today 269 list”
![2014_TET_Qualified_Document](https://www.wbedu.in/wp-content/uploads/2022/06/2014_TET_Qualified_Document.jpg)
আরও পড়ুন- ২০১৪ কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের কোন কোন ডকুমেন্ট জমা করতে হবে ! আজকে প্রাথমিক কোর্ট সিঙ্গেল/ডিভিশন বেঞ্চ-“What is 2014 TET Qualified Document”- এখানে ক্লিক করুন।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন।
বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার পর্যবেক্ষণে বলেছে কোন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কীভাবে ওই প্রার্থীদের টেটের নাম্বার দেওয়া হল তার কোনো ব্যাখ্যা এই মামলায় পর্ষদ দিতে পারেনি! এই মামলা {WB Primary 2014 court case} আগামী বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানির জন্য রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে!