বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন যেন মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে রাজ্যে। কিছু আগেই প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা মান বৃদ্ধির সঙ্গে বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন দেখলাম।যদিও তাঁদের দাবি সরকার সম্পূর্ণ না মানলেও কিছুটা বেতন বৃদ্ধির জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।
অপর দিকে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন কিছু দিন আগেই হয়েছিল । এরপর pgt স্কেলের দাবিতে হয়েছে অনেক আন্দোলন এবং আগামী 30 আগষ্ট আবার এই আন্দোলন হবে বলে জানা যাচ্ছে। সরকার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে কিছু দিন আগেই পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন 10,000 এবং 13000 করা হয়েছে ফলে আবার বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয়।
এই দিকে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবার বড়সড় আন্দোলনের পথে আশাকর্মীরা। নূন্যতম ১৮ হাজার টাকা ভাতা, সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে আজ সোমবার অবস্থায়-বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন আশাকর্মীরা। রানি রাসমণি রোডে এই অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবেন কয়েক হাজার আশা কর্মী।
আশা কর্মীদের সংগঠনের দাবি, মাসে মাত্র 3500 টাকা দেওয়া হয়। ইনসেন্টিভ মেলালে বড়জোর 5500 টাকা। যা দিয়ে কিছুই হয় না বলে দাবি ইউনিয়নের।
নূন্যতম 18000 টাকা মাসিক ভাতার দাবি সহ একাধিক দাবিতে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর 12 টায় সুবোধ মল্লিক স্করে জমায়েত করবেন আশাকর্মীরা। তারপর মিছিল করে দুপুর দেড়টা থেকে দুটো নাগাদ রানি রাসমণি রোডে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই এক প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে,বিভিন্ন কর্মচারী বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শুধু পথে বসে পড়ছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। তিনি জানিয়েছিলেন যে,আশা কর্মীদের বেতন এই বছর বাজেটে বৃদ্ধি করা হয়েছে,ফলে প্রত্যেক বছর বেতন বৃদ্ধি কোনোমতেই সম্ভব নয়।
ফলে এখন দেখার বিষয় আসা কর্মীদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে নিজের দাবি কতটা ছিনিয়ে আনতে পারে !!