This Post Contents
ফের প্রশ্নের মুখে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। না এবার শুধু রাজ্যে নয় ,গোটা দেশে। গতকালেক (শুক্রবার দিন), সুপ্রিম কোর্ট BED VS DELED মামলায় রায় ঘোষণা করে জানিয়ে দিয়েছে, বিএড করলেও প্রাথমিকে চাকরি নয় ,থাকতেই হবে ডিএলএড-ডিএডের প্রশিক্ষণ! প্রাইমারিতে শিক্ষকতায় অংশ নিতে পারবেন শুধু ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) এবং ডিএড (ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন) প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই। খারিজ হল NCTE (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন)-র ২০১৮ সালের ২৮ জুনের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও। তাতে বলা ছিল,বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতেও সুযোগ পেতে পারেন।
এদিনের রায়ের (BED VS DELED) ফলে সবথেকে বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেখানে প্রায় ১১৭৬৫ টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে! এবার শুধুমাত্র মেধাতিলিকা প্রকাশ করা হবে! যেহেতু এখন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্টে রয়েছে তাই মেধাতিলিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে পর্ষদ জানিয়েছে! এই ১১৭৬৫টি শূন্য পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
এদিনের রায়ের ফলে তাঁদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত আর থাকল না! আবার ২০২০ সালের প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি যে নিয়োগ হয়েছে, তাতেও প্রায় দশ হাজার বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রয়েছেন! তাঁদের ভবিষ্যৎ কী, এই নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি।
BED VS DELED মামলার অর্ডার কপি ডা উনলোড করতে হলে এখানে ক্লিক করুন! ফাইলটি সিরিয়াল নম্বর ২১৬ পাবেন!

এনসিটিই-র ২০১৮ সালের ২৮ জুনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান (BED VS DELED) হাইকোর্ট মামলা করেন বেশকিছু চাকরি প্রার্থীরা! সেখানে ঐ গেজেট নোটিশকে বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট! তার বিরুদ্ধে রাজস্থানের বিএড ডিগ্রিধারীরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। এর পর গোটা দেশের আদালতে এই মামলা হয়! সেই সমস্ত মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে! সুপ্রিম কোর্টে সমস্ত মামলা একত্রিত করে মামলার শুনানি শুরু হয়! সুপ্রিম কোর্ট গত জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানির শেষে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। গতকালকে অর্থাৎ ১১ই আগস্ট সেই (BED VS DELED) মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। এদিন সেই রায়েই এনসিটিই-র বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়েছে। গোটা দেশেই লাগু হবে এই রায়।
এবার এই রায়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সালে যে (১৬৫০০) বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল। আদালত এই (BED VS DELED) মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকেও কাঠগড়ায় তুলেছে। কোর্টের বক্তব্য, এনসিটিই কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশের ভিত্তিতেই সার্ক্যুলার জারি করে। সেই নির্দেশই ছিল ভুলে ভরা এবং শিক্ষার অধিকার (RTE ACT 2009 )আইনের পরিপন্থী।

পশ্চিমবঙ্গে B.Ed vs D.EL.Ed মামলার ইফেক্ট?
এর ফলে রাজ্যে ২০২২ থেকে প্রাথমিকে নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না। প্রসঙ্গত, ২০২২-এ প্রাথমিক শিক্ষকের ১১,৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেখানে বিএড চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেছিল! প্রাথমিক পর্ষদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল তাঁদের চাকরি ভবিষ্যৎ সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায়ের উপর টিকে থাকবে! এখানে ক্লিক করে পর্ষদের সেই নোটিশটি ডানলোড করে নিতে পারবেন!
এবার সুপ্রিম কোর্টের (BED VS DELED) নির্দেশে আপাতত তাঁদের আর নিয়োগ হচ্ছে না! ওপর দিকে ২০২০-২০২২ এক মামলার ২০২২ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে রয়েছে। এবার যদি ঐ ২০২২ এর নিয়োগ থেকে বিএড দের বাদ দেওয়া হয় তাহলে ফের প্রায় হাজার হাজার শূন্য পদে যোগ্য D.EL.Ed ক্যান্ডিডেটদের ইন্টারভিউও নতুন করে নিতে হবে পর্ষদকে! ফলে ভিডিওগ্রাফি সহ ইন্টারভিউ নেওয়ার পিছনে যে বিশাল অর্থ, সময় এবং শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে পর্ষদকে, সেসব যে জলে যেতে বসেছে, তা নিশ্চিত। এটা ভেবেই ঘুম ছুটেছে পর্ষদের।
প্রাথমিকে ডিএলএড বাধ্যতামূলক করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অশনি সঙ্কেত রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায়। ২০২০ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ১৬,৫০০ শিক্ষকের অধিকাংশের চাকরির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যেটুকু শুনেছি, তাতে প্রাথমিকে ডিএলএড এবং উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নেওয়ার কথা বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কী হবে, সেটা রায়ের মূল কপি না দেখে বলতে পারব না’
প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে যে বিএড ডিগ্রিধারীরা (BED VS DELED) প্রাথমিক শিক্ষক পদে এখন চাকরি করছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? আইনজীবীদের বক্তব্য, প্রায় ১০ হাজার বিএড ডিগ্রিধারী এখন রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি করছেন।অভিজ্ঞ আইনজীবীদের বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে দেখে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”
পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালে চাকরি পাওয়া অর্থাৎ ঐ ১৬,৫০০ শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে ইন্টারভিউ নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদেরও সিংহভাগ বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একটা পরিসংখ্যা বলছে- ১৬,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০০০ জন ডিএলএড প্রশিক্ষিত চাকরি পাননি!
ক্লিক করুন এখানে- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দের নির্দেশ ,৭ দিনের মধ্যে ৬ নম্বর দিতে হবে! পাস করলে ২ সপ্তাহের মধ্যে ২০২২ এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় !

১.১১/০৮/২০২৩ এর পর এবার যত নিয়োগ হবে এখানে লেভেল ১ বা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কেবলমাত্র ডিএড, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যোগ্য
২.রাজ্যের ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগের উপর এর প্রভাব পড়বে কি না সেই নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নি! কিন্তু প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে যে এর প্রভাব ১৬,৫০০ শিক্ষক নিয়োগের উপর পড়বে না!
৩. রাজ্যে বা দেশে এবার প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএড চাকরি প্রার্থীরা আর যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না!
Tahole amader b. Ed , Tet qualify der ki hobe